ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিন

ইসনাসিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামের একটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সমাবেশ করছে। তাদের ভাষা অনুযায়ী সারা বাংলাদেশে জানমালের নিরাপত্তাহীনতা, দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি সহ সামাজিক রাজনৈতিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ সকল সমস্যার দায়ভার নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। গত ১২ ই অক্টোবর শনিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এই সমাবেশটি করে।

ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ টি মানবতাব বিপ্লব বাংলাদেশ নামেও পরিচিত। আল্লামা ইমাম হায়াত কর্তৃক এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়। পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশের একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল হিসেবে এটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আস এবং এখন পর্যন্ত অন্য কোন দলের সাথে যুক্ত হয়নি কিংবা জোট গঠন করেননি।

ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিন

এর আগে ২০১৭ সালে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে তাদের এই আবেদনের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে। যার পরে প্রেক্ষিতে উত্তর প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি পিটিশন দায়ের করে। পরবর্তী সময়ে মহামান্য আদালত ইনসানিয়াতের পক্ষে রায় ঘোষণা করে। এবং সর্বশেষ রেজিস্ট্রেশন লাভ করে এই প্রতিষ্ঠানটি।

বিগত অনেকদিন ধরেই ইনসানিয়াত বিপ্লব তাদের সংগঠনের লোগো কিংবা মার্ক হিসেবে একটি সাদা গোলাপ ব্যবহার করেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় লোগো হিসেবে একটি রয়েছে। তবে বাংলাদেশের আরো একটি রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের প্রতীক সাদা গোলাপ থাকায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের পরিবর্তন করে আপেল প্রতীক নেয়। যেটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত।

বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশগ্রহণ

এর আগে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে সেটি প্রত্যক্ষিত হওয়ার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এই দলটি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সর্ব মোট ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কেউই বিজয় লাভ করতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে তারা দাবি করেছিল নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

উক্ত সময় নির্বাচনে প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য আলাদা আলাদা নির্বাচনের প্রতীক বা মার্ক বরাদ্দ করা ছিল। এই রাজনৈতিক দলটির মহাসচিব হচ্ছেন জনাব রেহান আফজাল।

পরবর্তীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী করায় নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। নির্বাচনে কমিশনকে তারা শর্ত দিয়েছিলেন সেনাবাহিনী মোতায়নের। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে এই সংগঠনটি। সেই রিটার আবেদনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করার কোথাও উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রিট উত্থাপন করা হয়নি এরকম মর্মে হাইকোর্ট এটি খারিজ করে দেয়।

শনিবারের সমাবেশে ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হায়াত বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পক্ষপাতদুষ্ট না হওয়ার জন্য আহবান করেন। তিনি বলেন রাষ্ট্রক্ষমতার বলে কখনোই ধর্মে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।। সকল ধরনের চাপ মুক্ত পরিবেশে একটি হৃদয়ের স্বাধীন উপলব্ধির বিষয় হচ্ছে ধর্ম।

Leave a Comment