দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন হলে আমরা সবার আগে চশমা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এটি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই গ্রহণ করা হয়ে থাকে। নিজেদের অনুমান নির্ভর কখনোই চশমার পাওয়ার নির্ধারণ করা উচিত নয়। এতে করে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আবার আমাদের সমাজে শিশুদের চশমা পড়া নিয়ে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন অল্প বয়সীদের চোখে এটি লাগানো অনুচিত। চলুন একজন চক্ষু বিশেষকের পরামর্শ অনুযায়ী এর সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নেই।
১। অনেকেই মনে করেন নিয়মিত প্রচুর শাকসবজি এবং ছোট মাছ খেলে আমাদের চোখের পাওয়ার ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কারণ চোখের দৃষ্টি শক্তির সমস্যা হলে সেটি ঠেকানোর তেমন কোন উপায় নেই। তবে ছোটবেলা থেকেই প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়ার ফলে আমাদের চোখের দৃষ্টি অনেক ভালো থাকে।
২। আবার আমরা এটা মনে করে থেকে যে দীর্ঘদিন চোখে চশমা ব্যবহার করলে পাওয়ার কমতে পারে কিংবা বাড়তে পারে। কিন্তু এরকম কোন ঘটনা ঘটে না। তবে আপনি যদি এটি ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৩। আপনার চোখে দেওয়া গ্লাসে পাওয়ার যদি সঠিক না হয় তাহলে প্রচন্ড রকমের মাথা ব্যথা করতে পারে এবং চোখ দিয়ে পানিও পড়তে পারে।
আমাদের মাঝে চশমা পড়া নিয়ে যত ধারণা
৪। চশমা নিয়ে ভুল ধারণা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয়। কিন্তু একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ যদি এটি সাজেশন দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি নিয়মিত পড়া উচিত।
৫। আপনার দৃষ্টিশক্তি যদি ভাল হয় তাহলে তো চশমার প্রয়োজন নেই। আর যদি দৃষ্টিতে যদি কিছুটা তারতম্য থাকে তাহলে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে সঠিক পাওয়ারের চশমা নিতে পারেন। এটি না করলেও কোন সমস্যা নেই তবে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
আমরা যখন বাইরে যাই তখন রোদ হতে বাঁচার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করি। এ সকল সানগ্লাসের সাধারণত কোন পাওয়ার থাকে না। তাই এটি যে কোন বয়সেই যেকোনো ধরনের মানুষই ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আমাদের চোখ সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে রক্ষা পায়।
অনেকেই আবার মন খারাপ করেন চোখের পাওয়ার আসলে। এটি আসলে খারাপ কিছু নয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাস প্রাকৃতিক আবহাওয়া জেনেটিক বিষয় ইত্যাদি কারণে চোখের পাওয়ার আসতে পারে। এটি অনেকটাই জুতার সাইজের মত।। অর্থাৎ কমুক কিংবা বাড়ুক তাতে কোন চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সকল পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।