বাংলাদেশের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। দীর্ঘদিন ধরে এই নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি জনতা পার্টি বাংলাদেশ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছেন। সংক্ষেপে এই দলটির নাম হচ্ছে যে জেপিবি।
আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১১ টায় ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এই জেপিবি দলের নাম ঘোষণা করেন। এমনকি দলটির স্লোগানও নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই স্লোগানটি হচ্ছে গড়বো মোরা ইনসাফের বাংলাদেশ।
বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে যে উক্ত দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন নিজে। সেই সাথে মহাসচিবের দায়িত্বে রয়েছেন শওকত মাহমুদ যিনি বিএনপির সাবেক ভাই চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তিনি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হন।
এছাড়াও জানা গিয়েছে যে গোলাম সারোয়ার মিলন উক্ত দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সাথে রফিকুল হক হাফিজ দলটির ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়াও রয়েছে সিনিয়র অ্যাডভোকেট, এডভোকেট, সাবেক সেনা কর্মকর্তা সহ আরো অনেকেই।
জনতা পার্টি বাংলাদেশ নতুন দলের আত্মপ্রকাশ
জাতীয় পার্টি বাংলাদেশ নতুন দলটির চেয়ারম্যানের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান 1993 সালে। তারপর থেকেই তিনি সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই চালিয়ে আসছেন। যা নিয়ে মাঝে মাঝেই খবরের শিরোনাম হতেন। অতীতে বেশ কয়েক রাজনীতিতে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। তখন সাড়া না দিলেই এবার নিজেই একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হয়েছে ২২ টি। যে তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ জনত জনতা পার্টি বাংলাদেশ।
নতুন এই দল সম্পর্কে একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা, রাজনীতি নতুন কিছু না। জনসেবা করার জন্য অনেকদিন ধরেই আমি চেষ্টা চালিয়ে আসছি। এ দলের মাধ্যমে সেটি শুধুমাত্র সংঘটিত কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করেছে। তিনি আরো জানান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সারা বাংলাদেশের ৩০০ টি আসে নাই তার প্রার্থী দেওয়ার প্ল্যান রয়েছে। নতুন এই দলটিতে যোগদান করছেন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সমাজকর্মীরা।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আলাদা দাবি করেন বাংলাদেশের বিদ্যমান দল গুলোর প্রতি জনগণের আস্থা ধীরে ধীরে যাচ্ছে তাই তারা বিকল্প নেতৃত্বের সন্ধান করছে। তিনি আশা করছেন জনতা পার্টি বাংলাদেশ সেই অভাবটি পূরণ করতে পারবে।