সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৫ আগস্ট এর শোক দিবস সহ আরো ৮ টি জাতীয় দিবস বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৬ ই অক্টোবর বুধবার ২০২৪ তারিখে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এ সকল তথ্য গুলো জানানো হয়েছে।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ মন্ডলীর একটি বৈঠকে বাংলাদেশের ৮ টি জাতীয় দিবস বাতিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। খুব শীঘ্রই মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ হতে এ ব্যাপারে পরিপত্র জারি করা হবে। যে সকল দিবস বাতিল হয়েছে তার মধ্যে ৫ টি হচ্ছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম এবং মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়।
যে সকল জাতীয় দিবস বাতিল করা হচ্ছে
১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিনের পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস। যেটি ছিলো ১৭ ই মার্চ।
২। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী যেটি অনুষ্ঠিত হয় ৫ আগস্ট।
৩। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী যেটি পালিত হয় ৮ আগস্ট।
৪। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে যেই দিনটি পালিত হয়।
৫। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবস যেটি পালিত হয় ১৫ আগস্ট।
৬। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস পালিত হয় ১৮ অক্টোবর।
৭। বাংলাদেশের জাতীয় সংবিধান দিবস এটি পালিত হয় ৪ নভেম্বর।
৮। ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস পালিত হয় ১২ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সাথে ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে ২০১৭ সালে। পরবর্তীতে এই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি এ বিষয়ে একটি পরিপত্রও জারি করে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবরে।
বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদের গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর। তারপর থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস কার্যকর করা হয়। বিগত ২০২২ সালের ৪ই নভেম্বর দেশের প্রথমবারের মতো জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত করা হয়েছিল।
এছাড়াও মাঠ বাংলাদেশ দিবস উদযাপন করা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশের ইজতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে। পালন করা হয় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর।
৫ আগস্টে সরকার পতনের পর ১৫ ই আগস্টের জাতীয় ছুটি প্রদান করা হয়নি। আর এবার ৮ টি জাতীয় দিবস বাতিল করা হচ্ছে।