ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় জেভিয়ারের পরিচয় না জানলেও একবার না একবার তাকে অবশ্যই দেখেছেন। কিন্তু তিনি আসলে কে, কোথায় থাকেন এবং কি করেন সে ব্যাপারে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে মিম তৈরিতে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয় Xavier এর ছবি। চলুন এর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
জেভিয়ারের আসল নাম হচ্ছে পাকালু পপিতো। ফেসবুক কিংবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে তিনি আসলে Xavie নামেই অত্যাধিক পরিচিত। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় পাকালু একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেন আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে। তবে তিনি ইন্ডিয়াতে পরবর্তীতে ফিরে আসেননি। সেখানকার একটি আইটি কোম্পানিতে তিনি জব করেন।
জেভিয়ার অর্থাৎ পাকালু খুবই লাজুক প্রকৃতির। সর্বপ্রথম ২০১৩ সালের তিনি টুইটারে যেটি বর্তমানে এক্স নামে পরিচিত, সেখানে অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন। তারপর সেখানে মজার মজার পোস্ট করা শুরু করেন। এমনকি তার পোস্ট খুব দ্রুত ভাইরাল হওয়া শুরু করে। সেই থেকে চিন্তা করে খুলেন ফেসবুক একাউন্ট। জেভিয়ার ফেসবুকেও বিভিন্ন ধরনের মজার মজার পোস্ট করেন।
ফেসবুকে জনপ্রিয় জেভিয়ারের পরিচয়
জেভিয়ার এর পরিচয় সম্পর্কে জানা যায় তার বন্ধুদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে মূলত টুইটার একাউন্ট খুলেছিলেন। তার বন্ধুরা তাকে বলেছিল যদি টুইটারে সে ৫ হাজার ফলোয়ার আনতে পারে তাহলে তাকে ১০ হাজার ডলার পুরস্কার দিবেন।
পরবর্তীতে জেভিয়ার অর্থাৎ পাকালুর ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৮ লাখে সেটি ২০১৫ সালে। বন্ধুদের সাথে বাজিতে জিতে সেই টাকা দিয়ে একটি গ্যাস স্টেশন কিনে ফেলেন তিনি। তবে জানা গিয়েছে কোন কারণ ছাড়াই তার ফেসবুক এবং টুইটার একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততদিনে তার পোস্ট করা বিভিন্ন মজার মজার বিষয় গুলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
জেভিয়ার আর কোন অ্যাকাউন্ট না ওপেন করলেও তার নামে অসংখ ফেক আইডি তৈরি করা হয়। তার ছবি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন মিম তৈরিতে। আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে সার্চ করলে জেভিয়ার নামের একটি অ্যাকাউন্ট পেয়ে যাবেন। ওই পেজের মাধ্যমে পাকালুর বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করা হলেই তিনি জেভিয়ার নামে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন।
তবে জানা গিয়েছে যে জেভিয়ার নাকি ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি ফেসবুক পেইজ ওপেন করেছিলেন। যেটা থেকে তিনি বিভিন্ন রকমের মিম পোষ্ট করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার ফলোয়ারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮ লক্ষে।
জেভিয়ারের আসল নাম
গণমাধ্যমে নেওয়া সাক্ষাৎকারে Xavier বলেন আমার মধ্যে রসবোধ স্বাভাবিকভাবেই আসে। আমার বাবা অত্যন্ত মজার মানুষ ছিলেন। তিনি জানান ভবিষ্যতে তার মজার মজার লেখা গুলো একসঙ্গে করে একটি বই প্রকাশ করতে চান। জেভিয়ারের আসল নাম তো আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে বিনোদনের অন্যতম একটি উৎস। এমনকি দেশ-বিদেশের খবরও জানা যায় মুহুর্তের মধ্যেই। আবার অনেককে ভাইরাল হতে দেখা যায় এক রাতের মধ্যে। এমনও মানুষ আছে যারা একদমই সাধারন জীবনযাপন থেকে অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছেন। আমাদের সমাজের এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। যেরকম একটি উদাহরণ হচ্ছে যে জেভিয়ারের পরিচয় সম্পর্কে। যার আসল নাম পাল্টে গিয়ে এখন অন্য নামে তাকে মানুষ চিনছে।