কতদিন পর পর বিছানার চাদর পরিবর্তন করা উচিত

আপনি প্রতিদিন যেই যেই বিছানায় ঘুমান সেই বিছানার চাদর কতদিন পর পর পরিবর্তন করে থাকেন? এই ধরনের প্রশ্নের উত্তরে সাধারণত সবাই বলে থাকে যতদিন না পর্যন্ত এটি ময়লা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর পর এটি পরিবর্তন না করলে দেখা যেতে পারে এলার্জির সমস্যা এবং চুলকানিসহ নানা অসুখ-বিসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি সম্পর্কে খুবই সচেতন থাকা উচিত। সুস্থ জীবনের অন্যান্য অভ্যাসের মতো এটি সম্পর্কে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

কিন্তু ঠিক কতদিন পর পর বিছানার চাদর পরিষ্কার বা পাল্টানো করা উচিত ছিল নির্ভর করে আপনার ব্যবহারের উপর। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

৭ দিনে একবার পরিবর্তন

যদি পারিপার্শ্বিক কোন অসুবিধা না থাকে তাহলে প্রতি ৭ দিন পর পর বিছানার চাদর পরিবর্তন করা সবচাইতে বেশি উত্তম। বিশেষ করে যারা রাতের বেলা বেশি ঘামে এবং এলার্জির সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি অত্যাবশ্যকীয় কাজ। এছাড়াও যাদের পোশা বিড়াল কিংবা সঙ্গী রয়েছে তাদের তো অবশ্যই ১ সপ্তাহের মধ্যে ধুয়ে পরিষ্কার করা অথবা পাল্টে ফেলা উচিত।

১৫ দিনে একবার পরিবর্তন

আপনি যদি একটি বেডে একাই থাকেন এবং রাতে খুব বেশি ঘামার অভ্যাস না থাকে তাহলে মোটামুটি ১৫ দিনে একবার পরিবর্তন করলেই হবে। বরং সেটাকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে পুনরায় বিছাতে পারেন।

১ মাস পর পর বিছানার চাদর পরিবর্তন

আপনি যদি একাই বেডে থাকেন কিংবা রাতে ঘুমানো ছাড়া বিছানায় যাওয়ার সময় না হয় তাহলে মোটামুটি ১ মাস সময় ধরে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যবিদদের মতে মাসে অন্তত পক্ষে ২ পরিষ্কার করা প্রতি উত্তম।

কিছুদিন পর পর বিছানার চাদর পরিবর্তন করা কেন জরুরী?

• অতিরিক্ত ঘাম এবং ময়লার কারণে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। এমনকি দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ব্যাকটেরিয়া পোকামাকর জমেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

• আমাদের দেহ থেকে প্রতিনিয়তই মরা ত্বক নিঃসৃত হয়। যেগুলো চাদরে জমে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।

• পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে মন ফুরফুরা লাগে। নিয়মিত বিছানার চাদর পরিবর্তন করলে দেখবেন ঘুমাতে শান্তি অনুভব হচ্ছে। এমনকি মানুষের স্বাস্থ্যের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে এর।

শেষ কথা

সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত কাপড় পরিষ্কার, ঘর পরিষ্কার ইত্যাদির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এত সব কিছু নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখলেও অনেক সময় বিছানার চাদর পরিবর্তনের বিষয়টিকে আমরা বেমালুম ভুলে যাই। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর থেকে আপনারা এ বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন। এ ধরনের আরো প্রয়োজনীয় টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য কন্টেন্ট গুলি ভিজিট করুন।

Leave a Comment