বিগত সরকারের আমলে চালু হয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কর্মসূচি। তারপর থেকেই বিভিন্ন মানুষের মনে এটা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ এবার এই প্রথম বাংলাদেশে সকল পেশা এবং শ্রেণীর মানুষদের জন্য এমন সুবিধা চালু করা হয়েছে।
আবার ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন বিভাগে চলছে সংস্কার মূলক কাজ। কিছু কিছু পরিবর্তন ইতিমধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। জাতীয় পেনশন স্কিম গুলি আরো আকর্ষণীয় করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত জাতীয় ৪টি পেনশন স্কিমে মোট গ্রাহক রয়েছেন ৩ লক্ষ ৭২ হাজার। সেই সাথে টাকা জমা হয়েছে প্রায় ১৩১ কোটি। অর্থাৎ জনসাধারণের কাছে এটি ইতিমধ্য জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তারপরেও এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্য নিম্নে খুঁটিনাটি কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত তথ্যবলী
১। এই স্কিমে কারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন?
যারা বিভিন্ন ধরনের সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মরত আছেন তারা এটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কারণ ইতিমধ্য তারা একটি স্কিমের আওতাভুক্ত রয়েছেন। এছাড়া যে কোন শ্রেণী পেশাজীবীর মানুষেরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন এই স্কিমের।
২। কত টাকা জমা হয়েছে সে এটি কিভাবে জানা যাবে?
গ্রাহকের আইডি দিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সিস্টেমে প্রবেশ করলেই সকল ধরনের তথ্যগুলো জানা যাবে।
৩। পেশা কিংবা চাকুরী পরিবর্তন করলে কি হবে?
কোন ব্যক্তি যদি তার পেশা অথবা চাকরি পরিবর্তন করে তাহলে পেনশন স্কিমে পরিবর্তন করতে হবে না। শুধুমাত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেই হবে।
৪। গ্রাহকের বয়স ৬০ বছর হলে কিভাবে টাকা পাবে?
যদি চাঁদা দাতার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে তার ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেই প্রতি মাসে এই টাকা প্রদান করা হবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম করতে কি কি লাগে এবং কারা করতে পারবে
• অনেকেই মনে করেন হার্ডকপি জমা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সেটি ভুল ধারণা বরং অনলাইনে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা যায়।
• গৃহিণীরাও এই পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হতে পারবেন।
• যারা প্রবাসে কর্মরত অবস্থায় আছেন তারাও অনলাইনে আবেদন করে এবং প্রতি মাসে টাকা প্রদান করে পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
• তবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে নগদ টাকা জমা প্রদান করা যাবে না। আপনি ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা জমা প্রদান করতে পারবেন।
• যদি গ্রাহক মারা যান তাহলে তার নমিনিকে নীতিমালা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করা হবে।
উপরে তথ্য গুলি দেখে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন অন্যান্য সরকারী চাকুরীজীবীদের পেনশনের মতোই এটির কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যেখানেই থাকুন আর যেই পেশায়ই যুক্ত থাকুন না কেন সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সেই সাথে আপনার অবর্তমানে নমিনিকে অর্থ প্রদানের সুবিধা রয়েছে।