অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দেশের ৩ লাখ মুয়াজ্জিন, খাদেম ও ইমাম ভাতা পাবেন। মূলত একটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এই অর্থ প্রদান করা হবে। প্রথম ধাপে সারা দেশের ১০% মসজিদে এই রীতি চালু করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে বাকি মসজিদসমূহ উক্ত কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে মসজিদের ইমামকে ভাতা প্রদান করা হবে ৫,০০০ টাকা, মুয়াজ্জিনকে প্রদান করা হবে ৪,০০০ টাকা এবং খাদেম পাবেন ৩,০০০ টাকা। এজন্য গঠিত কমিটিকে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে। তার পরে ১৭ লাখ মুয়াজ্জিন, খাদেম ও ইমামকে ভাতা প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতে সারা দেশে মসজিদ রয়েছে অন্তত সাড়ে ৩ লক্ষ। এ সকল মসজিদে ইমাম – মুয়াজ্জিন ও খাদেম রয়েছে প্রায় ১৭ লাখের অধিক। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ১০% মসজিদে পরীক্ষামূলকভাবে ভাতার কর্মসূচি চালু করা হবে। এজন্য প্রতিটি মসজিদকে প্রদান করা হবে ১২,০০০ টাকা। এ টাকাটি মসজিদে দায়িত্বরত ইমাম, খাদেম এবং মুয়াজ্জিনের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হবে।
দেশের ১৭ লাখ ইমাম ও মুয়াজ্জিন ভাতা পাচ্ছেন
শুধু তাই নয় অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় যেমন মন্দিরের পুরোহিত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও এই কর্মসূচি আওতাভুক্ত হবেন। এ সমস্ত একটি তালিকা প্রস্তুত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নিকট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মধ্যমা জানা গিয়েছে বিগত সরকারের আমলে এই বিষয়গ চূড়ান্ত হলেও তখন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়্ হলে এই বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
যে সকল ইমাম ও মুয়াজ্জিন বিভিন্ন মসজিদ ভিত্তিক শিশুর এবং গণশিক্ষা প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদেরকে প্রতি মাসে সমান প্রদান করা হয় ৫০০০ টাকা। বিভিন্ন অপরিসংখ্যান অনুযায়ী সারাদেশে এ সকল দায়িত্বপ্রাপ্তদের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৭১৯ জন। কিন্তু সারা দেশের মসজিদের সংখ্যা ১৭ লাখেরও অধিক। এদের বেশিরভাগই মসজিদের কমিটির পক্ষ থেকে বেতন পেয়ে থাকেন। শহরের মসজিদগুলোতে নিয়মিত হারে ভাতা এবং নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলো গ্রামের ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেন।
সবকিছু চূড়ান্ত হলে ধাপে ধাপে ১৭ লাখ ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম নিয়মিত ভাতা পেয়ে যাবেন।