আমাদের পাশের দেশ পাকিস্তানের পাওয়া গেছে বিশাল একটি স্বর্ণের খনি। গবেষকদের ধারণা সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের এলাকাতে সন্ধান পাওয়া এই খনিটিতে রয়েছে প্রায় ২৮ লাখ ভরি সোনা। যে সোনার বাজার মূল্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন রুপি। এই বিষয়টি নিয়ে উক্ত দেশের সাবেক খনি মন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশ করেছেন। এমনকি তার ভেরিফাই টুইটার বা এক্সের একাউন্টের মাধ্যমে এটি পোস্ট করেছেন। তার নাম হচ্ছে ইব্রাহিম হাসান মুরাদ।
গত ১০ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি পোষ্টের মাধ্যমে তিনি বলেন সিন্ধু নদীর অববাহিকা একটি এলাকা জুড়ে যেটির আয়তন প্রায় ৩২ কিলোমিটার সেখানে একটি সোনার খনি পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন হিসেবে সোনার ওজন হতে পারে প্রায় ৩৩ টন। আন্তর্জাতিক মূল্য অনুযায়ী এই সোনার দাম ৮০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।
পাকিস্তানে সন্ধান মিললো ৮০০ বিলিয়ন রুপির সোনার খনি
তবে এই খনিটি নিয়ে ইতিমধ্যে উক্ত দেশের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জিএসপি নানা ধরনের জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ঐ এলাকা এবং আশেপাশের অঞ্চল গুলোর বিভিন্ন জায়গা হতে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের সাবেক এই মন্ত্রী আরও জানান মহামূল্যবান এই ধাতু উত্তোলন করা হলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। একদিকে যেমন ক্ষনেকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান ঠিক অন্যদিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবে নতুন একটি মঞ্চ।
গবেষকদের ধারণা অনুযায়ী এই সিন্ধু নদের তলদেশ থেকে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন রূপির সোনা উত্তোলন করা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশন করেছে যে বিগত আর কয়েক হাজার বছর ধরে হিমালয় থেকে ভেসে আসা সোনার কণা গুলি এই নদীর নিচে আস্তে আস্তে জমা হয়ে এই বিশাল বড় মজুদ তৈরি করেছে। মূলত স্রোতের সাথে সোনার কণা গুলি ভেসে আসে যাকে বলা হয় প্লেজার ডিপজিশন। টনের হিসবে খনিতে প্রাপ্ত সোনার ওজন হতে পারে বা পরিমাণ হতে পারে ৩২.৬ মেট্রিক টন।
আগে এখান থেকে উক্ত এলাকার বাসিন্দারা পাকিস্তানের সোনার খনির এলাকা থেকে সোনার কণা সংগ্রহ করেছেন। ২০২৪ সালের পর থেকে পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে এই সোনার কণা সংগ্রহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। আমরা এর আগে ২০২৪ সালের শেষের দিকে সংবাদ মাধ্যমের জেনেছে এই পৃথিবীর সবচাইতে বড় গোল্ড মাইনের সন্ধান মিলেছে চীন দেশে। সেই খনিতে মজুদকে স্বর্ণের পরিমাণ হতে পারে প্রায় হাজার টন। যার বাজার মূল্য ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
বর্তমানে পাকিস্তানের বেকারত্বের হার অনেকটাই বেশি। তাই নতুন এই প্রাকৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন। যে কোনো ধরনের খনিতে কাজ করা একটি দীর্ঘ মেয়াদী করে তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অনেক লোক আর্থিক সচ্ছলতা দান করতে পারবে। সেই সাথে দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হবে প্রায় ৮০০ বিলিয়ন রুপি।