ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের টিকিটের দাম

ভ্রমণ, কেনাকাটা, চিকিৎসা সেবা ইত্যাদির জন্য আমরা প্রায়ই পাশের দেশের কলকাতায় যেতে পছন্দ করি। মূলত ডাক্তার দেখানো এবং কেনাকাটার জন্যই সবচাইতে বেশি গিয়ে থাকি। ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের টিকেটের দাম জেনে আপনি খুব সহজেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ভ্রমন করতে পারবেন। ট্রেন ভ্রমনের মাধ্যমে একদিকে যেমন আপনার খরচ বাঁচবে তেমনি ভ্রমনের সময় চারিদিকে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের মধ্য এক্সপ্রেস ট্রেনটি আন্তর্জাতিকভাবে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। মৈত্রী শব্দের অর্থ হচ্ছে বন্ধু সেটি আমরা জানি। ২০০৮ সালের ১৪ই এপ্রিল থেকে ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনটি চালু করা হয়েছিল। যার পর থেকে যাতায়াতের জন্য বেশ জনপ্রিয় মৈত্রি এক্সপ্রেস ট্রেনটি।

ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের সময়সূচী

মূলত সপ্তাহে ৪ দিন এটি বাংলাদেশ হতে কলকাতা ভ্রমণ করে। যেগুলো হচ্ছে বুধবার, শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা স্টেশন থেকে সকাল ৮ টায় ট্রেনটি ছেড়ে যায়। সারাদিন ভ্রমণ শেষে বিকাল ৪ টার দিকে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনে এটি গিয়ে পৌঁছায়। তবে পৌছানোর সময় কিছু পরিমাণে এদিক সেদিক হতেই পারে।

ঠিক তেমনিভাবে কলকাতা থেকে ঢাকায়ও ফেরত আসে সপ্তাহে ৪ দিন। যেগুলি হচ্ছে সোমবার, মঙ্গলবার, শুক্রবার এবং শনিবার। কলকাতা চিৎপুর রেলস্টেশন হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছাড়ে সকাল ৭:১০ মিনিটে। যাওয়ার মত করে একইভাবে বিকেল ৪ টার দিকে এটি আবার ঢাকায় এসে পৌঁছায়।

তবে টিকিটের দাম এবং যাতায়াতের সময় প্রায়ই পরিবর্তিত হতে পারে। এর জন্য আপনি বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।

ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের টিকিটের মূল্য কত

দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করার জন্য শুধুমাত্র টিকেট কিংবা ভাড়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কলকাতা যেহেতু ভারতে অবস্থিত তাই এর জন্য ইমিগ্রেশন বাবদ একটি ভ্রমণ ফি অবশ্যই আপনাকে প্রদান করতে হবে।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে ইমিগ্রেশনের একটি ফি সংযুক্ত থাকে। আবার ট্রেনের ভিতরে এসি কেবিন এবং বিভিন্ন ধরনের আসন রয়েছে। আপনি যদি এসি কেবিন ভাড়া করতে চান তাহলে ফি প্রদান করতে হবে ২,৯৩৫ টাকা। আর যদি এসি চেয়ার নিতে চান তাহলে ফি প্রদান করতে হবে ১,৯৫৫ টাকা। যেহেতু আপনি অন্য দেশে ভ্রমন করতে যাচ্ছেন তাই ট্যাক্স বাবদ আরও প্রদান করতে হবে ৫০০ টাকা।

কলকাতা থেকে ঢাকা আসার সময় একইভাবে এসি কেবিনের জন্য ২,০১৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের জন্য ১,৩৪৫ টাকা আপনাকে প্রদান করতে হবে সেই সাথে ট্যাক্স দিতে হবে।

যেহেতু আপনি অন্য দেশে বহন করবেন তাই অবশ্যই ভিসা এবং পাসপোর্ট ও প্রয়োজন হবে। যদি আপনার সাথে কোন শিশু কিংবা বাচ্চা থাকে যাদের বয়স ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে তাহলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ৫০% শতাংশ ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা রয়েছে।

তবে ৫ বছরের অধিক বয়সে যে কোন শিশুর জন্য পুরো ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।

ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের টিকেট কাটবেন কিভাবে

আপনি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে এসে যেকোনো সময় কলকাতার টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। একইভাবে কলকাতার স্টেশন অর্থাৎ চিৎপুর থেকে এই মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকেটও যে কোন সময় ক্রয় করতে পারবেন। তবে এ সময় আপনাকে অবশ্যই ভিসা এবং পাসপোর্ট থাকতে হবে।

ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া

আপনি যখন কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন তখন আপনাকে সবার আগে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে আসতে হবে। সেখানে আপনার কিছু কাজ থাকবে যেমন ইমিগ্রেশন ফর্মটা কালেক্ট করতে। ইমিগ্রেশন ফর্ম নেওয়ার পরে সেখানে সকল তথ্য গুলো সঠিকভাবে দিয়ে আপনাকে পূরণ করতে হবে।

আবার আপনি যখন ট্রেনের ভেতরে প্রবেশ করবেন তখন ভারতীয় ইমিগ্রেশনের লোক এসে আপনাকে একটি ফরম দিবে। যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। তারপর কলকাতার চিৎপুর স্টেশনে পৌঁছানোর পর আপনি ভারতীয় কাস্টমসের কাছে ইমিগ্রেশনের লাইনের জন্য দাঁড়াবেন। সেখানে সকল কিছু যাচাই করে আপনার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে। কিভাবে আপনি ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন।

Leave a Comment