সিমের পিন ও পাক কোড ভুলে গেলে কিভাবে উদ্ধার করবেন

মোবাইলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ সিম। একই সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এর অসাধারণ একটি ভূমিকা রয়েছে। সাধারণত একজন মানুষ তার পুরো জীবনে ১টি বা ২টি সিম ব্যবহার করে থাকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। কিন্তু কেমন হয় যখন আপনি সিমের পিন ও পাক কোড ভুলে যান। কিংবা বারবার পিন কোড ভুল দেওয়ার কারণে আপনার সিমটি লক হয়ে যায়।

এ ধরনের সমস্যায় আমরা কম বেশি সবাই পড়েছি। ভুল অথবা অসবাধনতা বশত যদি কখনো এই সিচুয়েশনে পড়েন তখন কি করবেন সেটি জানার জন্য ধৈর্য সহকারে লিখাটি পড়ুন।

সাধারণত নিরাপত্তার জন্যই প্রতিটি সিম অপারেটর কোম্পানি এই ব্যবস্থাটি দিয়ে থাকে। এর পিছনে অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে।

সিমের পিন কোডের কাজ কি

যারা এই ফিচারটির ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না তারা এর কারণটি জেনে নিন। মোবাইলে কথা বলা ছাড়া সিমের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। যেকোনো ধরনের অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক, চাকরির অ্যাপ্লিকেশন, সেবা গ্রহণ থেকে শুরু করে যে কোন কাজের জন্য এই সিমটি প্রয়োজনীয়।

তাই মোবাইলের পাশাপাশি এই ছোট বস্তুটির জন্য দরকার বাড়তি নিরাপত্তা। যখন আপনি এটির জন্য আলাদা করে পিন কোড সেট করে রাখবেন তখন যে কেউ সেটি চুরি করে ব্যবহার করতে পারবেনা। কারণ একটি মোবাইল থেকে খুলে সিম যখন অন্য একটি মোবাইলে প্রবেশ করানো হবে তখন সিমের পিন কোড দিতে হবে।

সিমের পিন কোড ভুলে গেলে কিংবা পাক কোড চাইলে কি করণীয়

এটির সাধারণত দুই ধাপে লক করা হয়। প্রথম ধাপে pin১ এবং পিন২ নামে দুটি লোক থাকে। আপনি যদি পিন১ ভুল করেন তাহলে আপনার কাছে পিন২ যাওয়া হবে। পিন১ দেওয়ার সুযোগ পাবেন আপনি ৩বার।

একইভাবে পিন২ যদি সঠিকভাবে না দিতে পেরে সেটিও ভুল করেন তাহলে আপনার কাছে পাক কোড যাওয়া হবে। পাক কোডেরও দুইটি অপশন রয়েছে। একটি হচ্ছে পাক১ এবং অপরটি হচ্ছে পাক ২। এই সকল ধাপ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটিতেও যদি আপনি সঠিক পান পিন করতে দিতে পারেন তাহলে আপনি সিমটা ওপেন করতে পারবেন।

আর যদি সিমের পিন কোড ভুলে যাওয়ার পাশাপাশি পাক কোডও যদি ভুলে যান তাহলে সেটি আর আপনি খুলতে পারবে না।

এমতাবস্থায় আপনাকে অবশ্যই সেই অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিস কেরে যোগাযোগ করতে হবে অথবা হেল্পলাইনে ফোন দিতে হবে। হেল্পলাইনে ফোন দেওয়ার পর যার নামে সিমটি রেজিস্ট্রেশন করা আছে তার বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন চাইবে। সর্বশেষ কত টাকা রিচার্জ করেছেন সেই ব্যক্তির জন্ম তারিখ ভোটার নম্বর লাস্ট কল হিস্টরি ইত্যাদি।

উক্ত তথ্য গুলো সঠিকভাবে বলতে পারলে আপনাকে নতুন একটি কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপর সেটির ব্যবহার করে সিমটি চালু করে কোড সমূহ আবার পরিবর্তন করতে পারবেন।

যখনই কেউ নতুন একটি অপারেটরের সিন ক্রয় করেন বাজার থেকে তখন সেটির গায়ে এই কোড লিখা থাকে। তাই এই ধরনের পাসওয়ার্ড ও পিন খুবই নিরাপদ এবং যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন এবং মুখস্থ করা দরকার। এভাবেই আপনি সিমের পিন কোড ভুলে গেলে ও পাক কোড পাসপোর্ট হারিয়ে ফেললে সেটি উদ্ধার করতে পারবেন।

Leave a Comment