শিশুদের টিকার তালিকা | কত বছর বয়সে কোন টিকা দিতে হয়

একটি নবজাতক জন্মগ্রহণ করার পর বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত বিশেষ যত্নের প্রয়োজন পড়ে। এমনকি শিশুদের টিকার তালিকা জানা থাকা উচিত প্রতিদিনই অভিভাবকের। যথা সময়ে এই টিকা যদি প্রদান করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে শারীরিক সমস্যার সম্মানের ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য নিচের তালিকাটি দেখুন।

শিশুদের টিকার তালিকা

বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকেই শিশুদের নানা ধরনের টিকা দেওয়া যায়। বাচ্চাদের কখন কোন টিকা দিতে হবে সে ব্যাপারে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা, টেলিভিশন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সব সময় সচেতন করা হয়। এর কারণ হচ্ছে যথাসময়ে এই টিকা অবশ্যই দিতে হবে। তবে আপনার ছোট সোনামনির কোন বয়সে কোন টিকাটি দেওয়ার জরুরী এবং কি কারণে দিতে হবে সেটি চলুন জেনে নেই।

জন্মের পর থেকে

শুরুতেই দেয়া হয় যক্ষার জন্য বিসিজি টিকা। সাধারণত বাহুর উপরে এবং চামড়ার মধ্যেও এই টিকা প্রদান করা হয়।

জন্মের ৬ সপ্তাহ পর থেকে

ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টংকার, হুপিংকাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইত্যাদির জন্য পেন্টা ভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন ডিপিটি, হেপাটাইটিস বি এর টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণত মাংসপেশীর মধ্যেও এটি প্রদান করা হয়।

তাছাড়াও একই বয়সে পিসিভি ভ্যাকসিন, ওপিভি টিকাও দিয়ে থাকা হয়ে থাকে পোলিও এবং নিউমোনিয়ার জনিত রোগের জন্য।

শিশুর বয়স যখন ৯ মাস পূর্ণ হয়

এ সময় তো এর গুরুত্বপূর্ণ এমআর টিকা চামড়ার নিচে দেওয়া হয়। সাধারণত হাম ও রুবেলার জন্য এই টিকাটি প্রদান করা হয়।

শিশুর বয়স ১৫ মাস পূর্ণ হলে

হামের টিকা ১৫ মাস বয়স পূর্ণ হলে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আবার জন্মের ১৪ দিনের মধ্যে ওপিভির অতিরিক্ত একটি রোজ দেওয়া যেতে পারে।

শিশুদের টিকার তালিকা অনুযায়ী যদি যথাযথ সময় মেনে না চলা হয় তাহলে এটি অকার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

১৫ বছর বয়সে কিশোরী এবং ৪৯ বছর পর্যন্ত মহিলাদের টিকার তালিকা

১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর কিশোরীদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ টিটি টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণত চামড়ার মধ্যে এবং বাহরের উপরের অংশ এটিকে দেয়া হয়ে থাকে। এ সময় তো অনুষ্ঠানের আরও একটি টিটেনাস টিকা প্রদান করা হয়।

টিকা প্রদানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ টিকা আপনি মিস করে যান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী ধাপ সমূহ অনুসরণ করবেন। আর যদি দুইটা টিকার মধ্যে যে বিরতি দেওয়া হয়ে থাকে সেটা যদি পূর্ণ না হয় তাহলে দোস্তি বাদল বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। শিশুদের টিকার তালিকাটি আপনার অন্যান্য বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।

Leave a Comment