পাওয়ার ব্যাংকের দাম কত | কেনার আগে যে বিষয়গুলোর প্রতি রক্ষা রাখা উচিত

যেহেতু মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিভাইস ছাড়া আমাদের জীবন একদমই চলে না তাই এটি সার্বক্ষণিক অন রাখার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু বাইরে কিংবা কোথাও ঘুরতে গেলে এ সকল ডিভাইস চার্জ বেশ ঝামেলার বিষয়। তাইতো পাওয়ার ব্যাংকের দাম কত এবং এটি কেনার সময় কি কি বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া উচিত তা নিয়ে হাজির হয়েছে।

বিভিন্ন ক্যাটাগরি বেঁধে পাওয়ার ব্যাংকের দাম ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আমরা জানি ব্যাটারির ধারণক্ষমতার উপর নির্ভর করে এটি কতক্ষণ ব্যাকআপ দেবে। তাই আপনার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে একটি সুন্দর দেখে পাওয়ার ব্যাংক চুজ করতে পারেন।

পাওয়ার ব্যাংকের দাম কত

বাজারের জনপ্রিয় রিম্যাক্সের ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের একটি পাওয়ার ব্যাংকের দাম পড়বে প্রায় ১৮৫০ টাকা। এর মাধ্যমে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির যে কোন স্মার্টফোন আনায়াসে ২ থেকে ৩ বার চার্জ করতে পারবেন। অর্থাৎ সাথে রাখলে মোটামুটি একদিনের চার্জিং ব্যাকআপ এতে হয়ে যাবে।

প্রতিটি পাওয়ার ব্যাংকের সাথেই একটি ডিসপ্লে অথবা ইন্ডিকেটর লাইট দেওয়া থাকে। যার মাধ্যমে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কতটুকু চার্জ রয়েছে ফুল চার্জ হয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো। রিম্যাক্স কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংকে একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়াও Baseus অসাধারণ লুকিং এর পাওয়ার ব্যাংক আপনি কিনতে পারবেন মাত্র ১৯৯৯ টাকার। এর ধারণক্ষমতা আবার অনেক বেশি যেটি হচ্ছে ২০ হাজার মিলি আম্পিয়ার।

এছাড়াও আরো অনেক কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংকের দাম কত সেটি সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছি আমি সংক্ষেপে। ১০ হাজার থেকে বিশ হাজার Ma পর্যন্ত বিভিন্ন ধারণক্ষমতার এই ডিভাইসটির দাম পড়বে সর্বনিম্ন ১৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে চাইলে আরো দামি পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন।

পাওয়ার ব্যাংকের সার্কিটের দাম কত

এখানে সার্কিট বলতে বোঝানো হয়েছে যে বোর্ডের মাধ্যমে পুরো পাওয়ার ব্যাংকের সিস্টেমটি পরিচালিত হয়ে থাকে। ক্যাপাসিটি এবং ফাংশনের উপর ডিপেন্ড করে এটির দামও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

আপনি অনলাইন হতে ৫ ভোল্ট এবং ২ এম্পিয়ারের একটি পাওয়ার ব্যাংক সার্ভিস কিনতে পারবেন মাত্র ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। আবার ফাস্ট চার্জিং অপশনসহ একটি পারবেন সার্কেস কিনতে খরচ হতে পারে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে যে সকল বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

যেহেতু এটি আমরা ডিভাইস অর্থাৎ স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করব তাই ধারণ ক্ষমতা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। এটির ব্যাটারির ক্যাপাসিটি যত ভালো হবে সেটি আপনাকে তত বেশি সার্ভিস দেবে।

• তারপর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইনপুট এবং আউটপুট। আপনার যদি স্মার্টফোনের পাশাপাশি একটি এয়ার বার্ডস কিংবা আরও একটি ডিভাইস চার্জার প্রয়োজন করে তাহলে কমপক্ষে দুইটি আউটপুট তো প্রয়োজন হবেই। কোন কোন পাওয়ার ব্যাংকে একটি মাত্র আহপুর থেকে যা দিয়ে একই সাথে একটি ডিভাইসের বেশি চার্জ দেওয়া যায় না।

• সাইজ এবং ওজনের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেয়া উচিত। যেহেতু এটিকে পকেটে কিংবা ব্যাগে করে ক্যারি করা হয় তাই সুবিধার জনক অর্থাৎ মেটাল অথবা প্লাস্টিকের বডি নিতে পারবেন। সেই সাথে পকেটে নিয়ে ঘোরার জন্য কম ওজনের পাওয়ার ব্যাংক চুজ করা উচিত।

• যদি এরকম হয় স্মার্টফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটির চাইতে পারবেন এর ক্যাপাসিটি অনেক কম তাহলে ছেড়েদে চার্জ করতে পারবেন না। তাই ক্যাপাসিটি দেখে কিনুন।

• আধুনিক প্রযুক্তির উন্নত মানের ল্যাপটপ গুলো পাওয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে চালানো যায়। এর জন্য মোটামুটি ৩০ হাজার Mah ধারণক্ষমতার একটি পাওয়ার ব্যাংক কেনা উচিত।

যদি আপনি ডিভাইসটি কিনে বাসায় ফেলে রাখছেন তাহলে সেটি আস্তে আস্তে নষ্ট হতে শুরু করবে। পাওয়ার ব্যাংক এর দাম কত এবং সেটা কেনার পর নিয়মিতই চার্জ দেওয়া উচিত। অনেকে আবার বাসা বাড়ির রাউটার কোন ইত্যাদি বিদ্যুৎ ছাড়া চালু রাখার জন্য এই ডিভাইসটি ক্রয় করেন। যদিও এর জন্য মিনি রাউটার ইউপিএস পাওয়া যায়।

Leave a Comment