আমাদের চুলের সমস্যার জন্য শেষ নেই। চুল পড়া ঝরে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়া, অকালে পাকা ইত্যাদির পাশাপাশি উকুন দূর করার পদ্ধতি গুলো নিয়েও ভাবতে হয়। অনেকেই আবার এই বিষয়টি শেয়ার করতে বেশ লজ্জা বোধ করেন। আর যদি পাবলিক প্লেসে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া যায় তাহলে তো সেই কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমাদের মাথায় বিভিন্ন কারণে উকুন হতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আশেপাশের কারো মাথা থেকে সেটি আমাদের মাথায় চলে আসে। যারা আবার নিয়মিত চুল, মাথার ত্বক পরিষ্কার করেন না তাদের। তবে কারণ যাই হোক সমাধানের উপায় তো আমাদেরকে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে।
কিভাবে মাথার উকুন দূর করবেন
শুরুতেই আসি পেট্রোলিয়াম জেলি সম্পর্কে। ত্বকের সুস্থতার জন্য এটি আর্দ্র রাখা খুবই জরুরী। তাই পেট্রোলিয়াম জেলির মাধ্যমে মাথার ত্বককে আর্দ্র রেখে উকুনের সমস্যার সমাধান করা যায়।
• আপনি নিশ্চয় টি ট্রি অয়েলের নাম শুনেছেন। এরমধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শুধুমাত্র উকুনই নয় বরং আপনার মাথায় খুশকির সমস্যা ও এটি দূর করে দিবে।
• সবার বাসায়ই নারিকেল তেল থাকে। কিছু পরিমাণে নারিকেল তেলের সাথে অল্প পরিমাণে নিমের তেল মিক্স করে নিন। তারপর সেই মিশ্রিত তেল গুলো হালকা গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করুন। চেষ্টা করুন রাতের বেলা এটি মাখানোর জন্য এবং সকালবেলা মাথা শ্যাম্পু করার জন্য। নিমিষে এই উকুন দূর হয়ে যাবে যদি এই পদ্ধতিটি মাসে কয়েকবার অনুসরণ করতে পারেন।
উকুন তাড়ানোয় লেবুর রস
স্বাস্থ্য, রূপচর্চায় লেবুর রসের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। সামান্য পরিমাণে লেবুর রসের সাথে কিছু পরিমাণে রসুন থেঁতো করে নিন। তারপর সেটিকে মাথায় রেখে কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। দেখবেন সকল উকুন নিমিষেই পালিয়ে গিয়েছে।
মেয়োনিজের ব্যবহার
বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের জনপ্রিয় একটি উপাদান হচ্ছে মেয়োনিজ। বন্ধুর করার উপায় হিসেবে এটি ব্যবহার করা যায়। এজন্য প্রথমে কিছু পরিমাণে মেয়োনিজ আপনার মাথার থেকে ভালোভাবে রেখে দিন। তারপর ছয় ঘণ্টা পর গোসলের সাথে ধুয়ে ফেলুন।
ভিনেগারের মাধ্যমে উকুন তাড়ানো
এই খাদ্য উপাদানটিও আমরা রান্না বান্নার কাজে ব্যবহার করি। এতে থাকা অ্যাসিটিক এসিড উপাদান হলো উকুনের জন্য যম। সবচাইতে ভালো হয় কিছু পরিমাণে আমন্ড ওয়েল বা নারিকেল তেলের সাথে ভিনেগার মিক্স করে সেটি মাথার তালুতে লাগালে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই উপায়টি অনুসরণ করুন।
কিংবা চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস খুবই উপকারী। নিয়মিত এটি মাথায় দেওয়ার ফলে খুশকির পাশাপাশি উকুন দূর হয়ে যাবে। আর যদি কোন ভাবেই এবং উপরের পদ্ধতি গুলো কাজে লাগিয়ে উপকার না আসে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন ব্যবহার করতে পারেন।