বিজ্ঞানের সুবাদে আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারছি। যার মধ্যে অন্যতম যন্ত্র ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত টাকা সেই নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আমাদের শর্করার পরিমাণ নির্ণয় করার জন্য সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যারা ইতিমধ্যে এই সমস্যায় আক্রান্ত তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ডিভাইসটি।
এর মাধ্যমে মূলত আমাদের দেহের সুগারের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। ব্র্যান্ড, কোয়ালিটি, ফিচার ইত্যাদি ভেদে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডায়াবেটিস মাপার মেশিন কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে আপনি যদি মোটামুটি ভালো মানের একটি ডিভাইস কিনতে চান তাহলে খরচ হতে পারে ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে এর চেয়ে কম এবং বেশি দামেও পাওয়া যায়। আমিই সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করছি।
ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত মিটার
আমি আগেই বলেছি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর দাম বিভিন্ন রকম। বাজারের অন্যতম একটি জনপ্রিয় কোম্পানি হচ্ছে ওকে বায়োটেক। মোটামুটি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে এই কোম্পানির ডায়াবেটিস ডিভাইস পাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আপনি ডিসকাউন্টেও কিনতে পারবেন।
এছাড়াও সেফ একিউ কোম্পানির মিটারের দামও মোটামুটি ১ হাজার টাকার আশেপাশে। এই কোম্পানির ডিভাইসের মোটামুটি ব্যাটারি লাইফে অনেক ভালো। যার মাধ্যমে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার দেহের শর্করার মাত্রা যাচাই করতে পারবেন।
এছাড়াও আরো রয়েছে ভিভা চেক ব্রি কোম্পানির ডায়াবেটিস টেস্টিং মেশিন। তবে কোম্পানি যাই হোক না কেন সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা বাজেটের ভিতরে আপনি একটি ভালো মানের ডিভাইস কিনতে পারবেন।
ডায়াবেটিস মাপার স্ট্রিপের দাম কত টাকা
যন্ত্রাংশটির পাশাপাশি আপনাকে আলাদাভাবে ব্যবহার করার জন্য স্ট্রিপ কিনতে হবে। এটির মূল্য সাধারণত ৩৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। মোটামুটি ৫০০ টাকার বাজেটের মধ্যে যে স্ট্রিপের প্যাকেটগুলো পাওয়া যায় সেখানে ২৫ থেকে ৫০ পিস পর্যন্ত স্ট্রিপ থাকে। আর ১০০০ টাকা বাজেটের মধ্যে ক্রয় করলে সেখানে ১,০০০ পিস স্ট্রিপ পাওয়া যায়। প্রতিটি স্ট্রিপ দিয়ে একবার রক্তের ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করা যায়।
আমরা ইতিমধ্য গ্লুকোমিটার অথবা ডায়াবেটিস মেশিনের দাম কত টাকা সে সম্পর্কে জেনে গিয়েছে। বাজারের প্রায় এই ধরনের ডিভাইসের সকল ব্র্যান্ডই ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে।
সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই রক্তে সরকারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের রাখা প্রয়োজন। এটি বেড়ে গেলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুবিধাও তৈরি হয়। ডায়াবেটিসের লক্ষণ হিসেবে সবচাইত বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঘন ঘন পেশাব করা, যদিও এটি অন্য কারণে হতে পারে। তাছাড়া নিয়মিত এটি পরীক্ষা করা প্রয়োজন যাতে করে আমরা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই বুঝতে পারি।
আবার যাদের কিনা অতিরিক্ত ওজন বেশি রয়েছে তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি এমনটাই আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যদিও বাস্তবিক পক্ষে যে কোন ওজনের কিংবা একজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাচলা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ইত্যাদি অনুশীলনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস কে দূরে রাখা যায়। আর কোন কারণে যদি এটির মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত টাকা সেটি জেনে আমাদেরকে অবশ্যই এ ধরনের ডিভাইসগুলো বাসায় ক্রয় করে রাখা উচিত। বংশগত কারণেও এই রোগটি হয়ে থাকে। তাই যাদের পিতা-মাতার এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের আগে থেকেই এ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরী।