বেশ কিছুদিন আগে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে লিখিত পরীক্ষা। তাইতো আজকের আলোচনার টপিক্স গ্রামীণ ব্যাংকের ভাইবা প্রস্তুতি। যারা ভালোভাবে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং মৌখিক পরীক্ষায় নাম আসার সম্ভাবনা আছর তাদের এ নিয়ে মনে রয়েছে না ধরনের প্রশ্ন। কি কি ধরনের কোয়েশ্চেন করতে পারে এবং কোন কোন বিষয় পড়া উচিত তা নিয়ে আছেন দ্বিধাদ্বন্দে।
বিগত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা বাংলাদেশ জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক পদে লিখিত পরীক্ষার অংশ। এই এক্সামে মূলত mcq এর পাশাপাশি লিখিত উত্তরও করতে হয়েছে। বিগত বছরের নভেম্বর মাসে এই জব সার্কুলারটি প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশের অন্যতম এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে অনেকেই চাকরি করতে ইচ্ছুক। আর এই পদে যেহেতু ভালো বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তাই তরুণ তরুণীদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে।
অল্প কিছুদিন আগেই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে যে ফলাফল খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে পারে। যাদের কনফিডেন্স আছে এবং ভালো পরীক্ষা দিয়েছেন তারা জানতে চাচ্ছেন কিভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবেন। এমনকি কোন কোন বিষয়ে সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত সেটা নিয়ে আজকে আলোচনা করব।
গ্রামীণ ব্যাংকের ভাইভা প্রস্তুতি কীভবে নিবেন
লিখিত পরীক্ষার তুলনায় মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ক্যান্ডিডেটদের মাঝে বেশ ভীতি কাজ করে। এর কারণ হচ্ছে লিখিত অংশে কাগজে লেখার পর সেটির পরীক্ষক যাচাই করেন। উপস্থিত থাকতে হয় না তাই ভীতিও খুবই কম কাজ করে। এদিকে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে যে কোন চাকরির মৌখিক পরীক্ষা সরাসরি নিয়োগকর্তাদের সামনে নেওয়া হয়। এমনকি ভাইবা বোর্ডে চারজন বা তার অধিক পরীক্ষকও থাকতে পারেন। তাইতো অনেকেই নার্ভাস হয়ে যান। এ সময়ে অনেক জানা এবং সহজ উত্তর ভুল হতে পারে।
তবে আর যাই হোক চাকরি পেতে গেলে ভাবে পরীক্ষায় তো উপস্থিত হতে হবেই। আপনি যদি গ্রামীণ ব্যাংকের ভাইবা প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে সবার আগে বেসিক এবং সাধারণ জ্ঞান গুলি জানতে হবে। এই জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, গ্রামীণ ব্যাংক অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কিত তথ্য, আপনার নিজ এলাকার তথ্য ইত্যাদি। যেহেতু এটা একটি অর্ধেক প্রতিষ্ঠান তাই দেশ এবং বিদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং এর সম্পর্কিত বিষয় জেনে থাকা জরুরী।
যেমন আপনাকে প্রতি প্রশ্ন করতে পারে গ্রামীণ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এমনকি সারা বাংলাদেশে এর কতটি ব্রাঞ্চ রয়েছে এবং এর কার্যক্রম সম্বন্ধে। বাংলা ব্যাকরণ থেকেও যেকোন প্রশ্ন করতে পারেন। প্রশ্ন করা হতে পারে সাহিত্য থেকেও। ইংরেজিতে যে কোন শব্দের অর্থ বানান বা সাহিত্য থেকেও পরীক্ষক প্রশ্ন করতে পারেন।
তাই বেসিক নলেজ থাকা খুবই জরুরী। আপনারা চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সম্পর্কিত সাজেশন গুলি আমাদের কাছ থেকে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনারা নিম্নে উল্লেখিত ফেসবুক পেইজে মেসেজ দিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনাকে পিডিএফ ফাইল আকারে গ্রামীণ ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কিত সকল তথ্য সরবরাহ করবো।
তবে সাধারণ জ্ঞান এবং বেসিক নলেজের জন্য বাজারে অনেক বই পাওয়া যায়। এমনকি নবম দশম শ্রেণীর বই থেকে অনেক প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। তাই দেরি না করে আজ থেকে আপনার প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।
ভাইবা পরীক্ষা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রস্তুতি
শুধুমাত্র একাডেমিক প্রস্তুতি নিলেই চলবে না। এর পাশাপাশি আপনাকে যাতে আরো বেশি স্মার্ট এবং সুন্দর ও কনফিডেন্স দেখায় তার জন্য আলাদাভাবে দরকার বিশেষ প্রস্তুতি।
পরীক্ষা শুরুর আগে অবশ্যই আপনার পোশাক অর্থাৎ শার্ট, প্যান্ট, বেল্ট, জুতো, ঘড়ি ইত্যাদি রেডি করে রাখুন। খেয়াল রাখবেন সেগুলো অবশ্যই যেন ফরমাল এবং মার্জিত রঙের হয়। আপনার পোশাক যত বেশি সুন্দর হবে পরীক্ষকদের নিকট আপনি তত বেশি পজিটিভ ভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।
এর মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে হেয়ার কাটিং। এলোমেলো চুল নিয়ে কখনোই ভাইবা বোর্ডে উপস্থিত হওয়া উচিত নয়। পরীক্ষার আগে চুল ছোট করে সুন্দর একটি কাটিং দিয়ে নিতে পারেন। যদি দাড়ি না থাকে তাহলে সুন্দরভাবে সেভ করে নিন। আর যদি দাড়ি থাকে তাহলে সেটিও সুন্দরভাবে ছেঁটে নিন। সাধারণত মৌখিক পরীক্ষার জন্য সাদা শার্ট এবং কালো প্যান্ট সবচাইতে বেশি প্রচলিত। তবে উজ্জ্বল কিংবা কারো রং বাদে আপনি অন্যান্য কালারও পছন্দ করতে পারেন।
জুতার ক্ষেত্রে অবশ্যই ফরমাল অর্থাৎ চামড়ার জুতো পড়া উচিত। কালো প্যান্টের সাথে কালো কিংবা শার্টের সাথে মিলিয়ে আপনি অন্য রঙের জুতো পড়তে পারবেন। জুতার সাথে বেল্টের কালার অবশ্যই মানানসই হওয়া আবশ্যক। গ্রামীণ ব্যাংকের ভাইবা প্রস্তুতি সম্পর্কিত সকল তথ্য আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন। এ ধরনের প্রয়োজনীয় লিখে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।