সরকারি ফার্মেসি এখন থেকে স্বল্পমূল্যে ওষুধ বিক্রি করবে

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সারাদেশে সরকারি ফার্মসি চালু হচ্ছে। বিশেষ সরকারি অধ্যাপক সাইদুর রহমান এই ব্যাপারে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন এ সকল মেডিসিনের দোকান হতে ২৫০ ধরনের ঔষধ কেনা যাবে।

আর দামের ব্যাপারে বলেন সাধারণ মূল্যের তুলনায় অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ দামে সকল মেডিসিন জন্য সাধারণ কিনতে পারবেন। অধ্যাপক সাইদুর রহমান আরও সাংবাদিকদেরকে আরো জানান যে বাংলাদেশের গভর্নমেন্ট হসপিটালগুলোতে ল্যাব সেবা রয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট এবং হেলথ কেয়ার সেবা থাকলেও কোন ধরনের মেডিসিন বিক্রির সুবিধা নেই।

সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিকল্পনা যা খুব শীঘ্রই চালু করা হবে। সরকারি ফার্মেসি চালু হয় বাংলাদেশের যত গভর্নমেন্ট হসপিটাল এবং ক্লিনিক করেছে সবগুলোতেই। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আরও জানা গেছে যে এ সকল সরকারি ফার্মেসির চালানো সবচাইতে বড় বাধা হবে মেডিসিন চুরি রোধ করা। তাইতো সকল ধরনের সিস্টেম ডিজিটাল ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন।

সরকারি ফার্মেসি থেকে স্বল্পমূল্যে ওষুধ পাওয়া যাবে

প্রসঙ্গত তিনি আরো উল্লেখ করেন সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বছরে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার মেডিসিন ক্রয় করে থাকে। এবার থেকে এই খাতে বাজেট আরো বেশি বরাদ্দ হবে। এমন কেউ প্রয়োজন অনুযায়ী আরো বেশি পরিমাণে মেডিসিন কেনা হবে এবং সেই সাথে সরকারি উৎপাতন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হবে।

সরকারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তথ্য মতে বাংলাদেশের প্রায় কয় কোটি মানুষ ডায়াবেটিস এবং হাই ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত। এ সকল রোগীদের মোট চিকিৎসাবে ৬৪ ভাগ খরচ করতে হয় মেডিসিন কিনতে। যার কারণে একজন সাধারণ কিংবা দরিদ্র মানুষ আরো দরিদ্র হয়ে যান। এই সকল রোগীদের কথা চিন্তা করে সরকারি ফার্মেসীর মাধ্যমে তিন ভাগের এক দামর ওষুধ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকি ২৫০ ধানের এই মেডিসিন দিয়ে অসংখ্য গ্রাহকের সুচিকিৎসা নিশ্চিত প্রদান করা সম্ভব।

মানুষের মৌলিক চাহিদাসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে মানুষ প্রতিনিয়ত এটা ডায়াবেটিস রক্তচাপের মত নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মূল সমস্যা হচ্ছে এসকল রোগীদের প্রায় সারা বছরই মেডিসিন সেবন করতে হয়। আবার সামর্থ না থাকায় অনেক রোগী আরো জটিল পরিস্থিতিতে গিয়ে ঠেকে।

সাধারণ ওষুধের দোকানে যে দামে ওষুধগুলো বিক্রি করা হয় তা হয়তো কেনার সামর্থ্য অনেকেই রাখেন না। যদি স্বল্পমূল্যে এ সকল মেডিসিন তারা ক্রয় করতে পারে তাহলে হয়তোবা আরো উন্নত জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবেন। এমনকি সরকারি ফার্মেসীর মাধ্যমেও বাংলাদেশ সরকার এই লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছে। এমনকি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকা এই বড় পদক্ষেপের প্রতি বেশ আশাবাদী।

Leave a Comment