চাকরির জন্য কম্পিউটারের কি কি জানতে হয়

প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করে সবাই আকাঙ্ক্ষা থাকে ভালো বেতনে একটি জব। তবে একাডেমিক সার্টিফিকেট ছাড়াও চাকরির জন্য কম্পিউটারের কি কি বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা থাকতে হয় সেটিও জানা জরুরী। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। যার কারণে অধিকাংশ কাজে কম্পিউটারের উপর নির্ভরশীল।

স্কুল, কলেজ, বেসরকারি-সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় বাণিজ্য, ট্রান্সপোর্ট, শিল্প সকল ক্ষেত্রেই এখন ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ থেকে ২০ বছর আগে যেখানে হাতের লিখে বিভিন্ন ধরনের হিসাব রাখা হতো সেগুলো এখন মোবাইলে করা হয়। তাইতো চাকরির জন্য কম্পিউটারের জানার জরুরী। আপনি যদি একজন চাকরির প্রত্যাশী হয়ে থাকেন কিংবা একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে কম্পিউটারের কোন কোন বিষয়ের উপর ফোকাস করা দরকার চলন যায় নাই।

কম্পিউটারের কি কি বিষয় জানা জরুরী

মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড

অনলাইন কিংবা অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সকল ধরনের নথি হিসাব নিকাশের জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং অফিস এক্সেল সম্পর্কে দক্ষতা থাকা বর্তমান যুগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি আরো সহজ করে বলি। শুধুমাত্র অফিস এবং এক্সেলের উপর দক্ষতা থাকলে বর্তমানে অনেক ভালো ভালো চাকরি করা যায়।

এর কারণ হচ্ছে যে কোন ধরনের নথিপত্র এবং সকল ধরনের হিসাব করার জন্য এই দুটি জানা দরকার। এর পাশাপাশি পাওয়ারপয়েন্ট সম্পর্কে জানা থাকা ভালো। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে সকল ধরনের প্রেজেন্টেশন রেডি করা হয়ে থাকে।

ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর দক্ষতা

ইন্টারনেট হতে যে কোন ধরনের তথ্য খুঁজে বের করা, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করা ও অন্যান্য কাজ জানা চাকরির জন্য প্রয়োজন। এর কারণ হচ্ছে বর্তমানে প্রায় সকল ধরনের কার্যক্রম ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।

ধরুন আপনি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শ্রেণি ও ধাপের এপ্লিকেশন, রেজাল্ট, বোর্ড সংক্রান্ত কাজ, সকল কিছুই এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাইতো একটি ব্রাউজার ব্যবহার করে কিভাবে এই কাজ করতে হয় সেটা জেনে নেওয়া দরকার।

আর বিভিন্ন কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের নানা ধরনের ইন্টারনেট ব্রাউজার ও ওয়েবসাইট ইউজ করি।

ল্যাপটপ ও ডেক্সটপ বেসিক

বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক আবিষ্কার হচ্ছে আধুনিক কম্পিউটার। এর আবার দুটি ভার্সন রয়েছে যার মধ্যে একটি হচ্ছে ল্যাপটপ এবং অন্যটি হচ্ছে ডেক্সটপ। উভয়ের কাজ একই রকম হলেও হার্ডওয়ারের মধ্যে বেশ কিছু তফাৎ রয়েছে। মাউস, কিবোর্ড, ওয়েবক্যাম, সিপিইউ, মনিটর, কেবল, বিভিন্ন ধরনের পেনড্রাইভ ইত্যাদি যন্ত্রাংশ গুলোর বেসিক রক্ষণাবেক্ষণ জানা দরকার। আপনি যখন চাকুরীর স্থলে নিজের কম্পিউটার চালাবেন তখন নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এক্ষেত্রে ছোট ছোট সমস্যা নিজেরই সমাধান করতে জানতে হবে। এটি আপনার বাড়তি যোগ্যতা বলে বিবেচিত।

যেকোনো ধরনের কাগজপত্র প্রিন্ট করা

চাকরির জন্য কম্পিউটারের কি কি বিসর্জনের তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রিন্ট করা। যেকোনো ধরনের নথি ছবি এটা দিয়ে তৈরি করার পর সেটি কালার অথবা সাদাকালো প্রিন্টার দিয়ে প্রিন্ট করতে দরকার হতে পারে। এ প্রিন্টারটি কিভাবে ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপের সাথে যুক্ত করবেন এবং ম্যানুয়ালি সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন সেটা সম্পর্কে পূর্ব দক্ষতা থাকা ভালো। যদিও এখন প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই একজন করে আইটি অফিসার থাকে এগুলো করার জন্য তবুও আগে থেকে শিখে রাখবেন।

মেইল আদান-প্রদান

প্রফেশনাল কাজে যেকোনো ধরনের তথ্য কিংবা ডকুমেন্টস আধান করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ইমেইল। একটি ইমেইল কিভাবে পাঠাতে হয়, এর সাবজেক্ট, ফাইল এটাচমেন্ট, mail forward ইত্যাদি বেসিক বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখুন। কিভাবে ইংরেজি ও বাংলায় অত্যন্ত সুন্দর ভাষায় মেইল লেখার অভ্যাস গড়াও দরকার। মনে রাখবেন অনেক সময় কর্মকর্তারা মেইলের ভাষার উপর একজন ব্যক্তিকে বিবেচনা করে থাকে।

চাকুরীর জন্য বেসিক কম্পিউটার স্কিল

১। টাইপিং এর দক্ষতা

অফিসে দেখতে বসে আপনি সবার সামনে দেখে দেখে কম্পিউটারে টাইপ করতে পারবেন না। এটি আপনার অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হতে পারে। তাই বাংলা ও ইংরেজিতে কমপক্ষে প্রতি মিনিটে ৪০ টি শব্দ লেখার যোগ্যতা অর্জন করুন। এমনকি যেকোনো ধরনের ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠান চালানো ব্যক্তিগত কাজেও এটি জরুরী।

২। গ্রাফিক্স ডিজাইন

চাকরির জন্য কম্পিউটারে কি কি জানা দরকার সেটি মধ্য গ্রাফিক্স ডিজাইন খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে অনেক প্রতিষ্ঠানে এড়িয়ে চেয়ে থাকতে পারে।

কারণ কম্পিউটার মানেই বিভিন্ন ধরনের তথ্য, ছবি ইত্যাদির কাজ করতে হয়। এ বিষয়ে হালকা ধারণা কিংবা কিছু দক্ষতা আপনার পারফরম্যান্স কে অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে।

৩। সামাজিক নেটওয়ার্কিং

ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সবচাইতে কার্যকরী জায়গা হল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই এ ধরনের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট করা থাকে। ইমেইল আদান প্রদানের মতো এসব Account মেইনটেন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে কম্পিউটারে বেশি স্কেলের মধ্যে এটি জায়গা করে নিয়েছে। তাই এসব কিভাবে ব্যবহার করতে হয় একাউন্ট কিভাবে চালাতে হয় তা সম্পর্কে জেনে নিন।

মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক থেকেই সবার উচিত কম্পিউটারের বেসিক স্কিল গুলো জেনে রাখা। বাসায় বসে নিজের ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ এর পাশাপাশি অনেক ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে যেখানে এই ধরনের বিষয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এই দক্ষতা গুলি যেকোন মানুষের এই ক্যারিয়ারের জন্য ইতিবাচক।

Leave a Comment