অবশেষে খবর পাওয়া গেলো ছোট্র মুনতাহার

নিখোঁজের ৮ দিন পর সিলেটের সেই ছোট্র শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের মৃ-ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। গত ৩ নভেম্বর বুধবার ২০২৪ তারিখ বিকেল হতে নিকট ছিল ছোট্ট এই শিশুটি। তারপর ১০ নভেম্বর বুধবার ভোর রাতে তাদের এই বাড়ির পুকুর থেকে নিথর দেহটির সন্ধান পাওয়া যায়।

ছোট্ট শিশু মুনতাহার বাবার নাম শামীম আহমেদ। তিনি থাকেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামে। অন্যান্য দিনের মতো করে সেদিনও অর্থাৎ ৩ নভেম্বর প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল সে। কিন্তু প্রতিদিন বাড়ি ফিরে আসলেও সেদিন আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার এই নিখোঁজ এর বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তোলপাড়।

এমনকি ছোট্ট শিশু মুনতাহার সন্ধানের জন্য দেশ বিদেশ থেকে অনেক ব্যক্তি পুরস্কার ঘোষণা করেন। তবে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও পাওয়া যায়নি কোন খবর। এমনকি সবাই সন্দেহ করতে থাকেন হয়তো বা তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

যার কারণে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও করেছে তার পরিবার। ছোট্ট শিশুর মুনতাহার হারিয়ে যাওয়ায় তার পরিবারের প্রায় পাগল প্রায় অবস্থা। কয়েকজন প্রবাসীও তার সন্ধানে লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

অবশেষে খবর পাওয়া গেলো ছোট্র মুনতাহার

অবশেষে তার বাড়ির পুকুরেই পাওয়া গেল ছোট্ট মুনতাহার দেহ। গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন মুনতাহার দাদা মোঃ ছালিক মিয়া। এমনকি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান হন তারা কারখানার ডিউটি অফিসার।

এব্যাপারে মুনতাহার পরিবার দাবি করেছিল তাকে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে অপহরণ করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন এবং পুলিশও উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক মানুষ এটি নিয়ে পোস্ট করছিল এবং সবার মনেই আঘাত দিয়েছে ঘটনাটি। ঘটনার দিন অর্থাৎ ৩ নভেম্বর সকাল বেলা বাবার সাথে মুনতাহা একটি ছোট ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিল। তারপর বাড়ি ফিরে প্রতিদিনকার মত খেলাধুলা করছিল আশেপাশের শিশুদের সাথে। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় হয়ে গেলেও বাড়ি ফিরেনি।

যার কারণে পরিবারের লোকেরা আশেপাশের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যাচ্ছিল না তার সন্তান। সিলেটের এক নারী সমাজকর্মী যার নাম ফারমিস আক্তার তিনিও মুনতাহার সন্ধান দাতাকে একটি স্বর্ণের চেইন প্রদান করার পুরস্কার ঘোষণা করেন।

Leave a Comment