গ্রাম অঞ্চলে ইতিমধ্য বেশ শীতের দেখা মিলেছে। যদিও এখন পর্যন্ত তীব্র শীত শুরু হয়নি। আগামী ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাবে ৪টি তীব্র শৈত্য প্রবাহ। এর পাশাপাশি মাঝারি মানের শৈত্য প্রবাহ তো আছেই। সেই সাথে সারা দেশ জুড়ে হতে পারে শিলাবৃষ্টির সহজ ঝড়।
যার কারণে শেষ রাত থেকে এ সকল এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কখনো কখনো তীব্র শৈত্য প্রবাহের এই কুয়াশা স্থায়ী হতে পারে দুপুর পর্যন্ত কিংবা সারাদিন। সেই সাথে দেশের অনেক অঞ্চলে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু এলাকায় আগামী ২৪ ঘন্টার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে। অন্যান্য এলাকার পরিবেশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রতিবেদনে এই তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয় আগামী ৩ মাস দেশে বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে হ্রাস পেতে থাকবে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চল থেকে তিন থেকে ৪টি তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যেগুলোর তাপমাত্রা থাকবে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
শিলাবৃষ্টির সাথে ধেয়ে আসছে শৈত্য প্রবাহের
সাম্প্রতিক সময় আগার আবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের দিকে অগ্রসর হয়েছে। যার কারণে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আকাশ ছিল মেঘলা। এমনকি উপকূলের পাশাপাশি ঢাকা বিভিন্ন এলাকায়ও কিছু পরিমাণে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। যদিও এ সময় স্থানীয় সমুদ্র বন্দর গুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখানো হয়েছে।
এদিকে চারিদিকে রীতিমতো আবৃত হয়েছে কুয়াশার চাদরে। ঢাকার রমনা পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র শভতের মধ্যেও মানুষ শরীরচর্চায় ব্যস্ত। গাছের মধ্যে খুনসুটি করছে কাঠবিড়ালি ও শালিকের ছানা।
শীতের সবচাইতে জনপ্রিয় পোশাক হচ্ছে হুডি। ছেলে এবং মেয়ে উভয়দের কাছেই এটি সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য। এমনকি বর্তমানে অনেক কাপলরা ম্যাচিং ডিজাইনের হুডি কিনে থাকে। সেই সাথে বাড়তে থাকে শীতের পিঠাপুলির সাথে ছবি তোলার ধুম।
বছরের প্রায় অর্ধেক সময় তীব্র গরম শেষে শীতের আমের জন্য মানুষের মনে একটু বেশি নাড়া দেয়। শীতের কাপড় শীতের পিঠা শীতের উৎসব ইত্যাদির জন্য যেন বাঙালিরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। তবে বিগত সময় গুলির তুলনায় শীতের তীব্রতা যেন খানিকটা কমলেও শেষ বছর গুলোতে যেন পুরনো দিনের শীতের আমেজ ফিরে আসছে। আর শীতের দিনের সত্য প্রবাহ হতো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।