২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রকাশিত হতে পারে ১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি। সেই সাথে আসতে পারে বেশ কিছু পরিবর্তন। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করতে পক্ষ বা এনটিআরসিএ কর্তৃক এই তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের মতে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করার পরে অনেক প্রার্থীরা বেকার অবস্থায় থাকছে। এ সমস্যাটা সমাধানের লক্ষ্যে ইতিমধ্য বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখিত হয়েছে মূলত শিক্ষক নিয়োগের পদ ফাঁকা না থাকলেও উক্ত পদে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য প্রাথমিকভাবে আলোচনা করা হচ্ছে যে সকল বিষয় শূন্য পদ থাকবে না সে সকল বিষয় নিবন্ধন পরীক্ষা না নেওয়ার ব্যাপারে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে নিবন্ধন পরীক্ষার পরিবর্তন নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত করা হবে। উত্তর সবাই চূড়ান্তভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই ১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
এনটিআরসিএ এর বিভিন্ন সূত্রে আরও জানা যায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাতে সবাই চাকরি পায় সে বিষয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি তারাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে চলেছেন। তারা আশা করছেন যে ১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন থেকেই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে এনটিআরসি এর সদস্য মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের কে জানান, এনটিআরসি এ পরীক্ষার বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে কোন সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে জানুয়ারি মাসে
মূলত বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ইত্যাদি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার জন্য নিবন্ধন সনদ অর্জন করতে হয়। প্রিলি, লিখিত এবং মৌখিক এ ৪টি পর্যায়ে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অনেক চাকুরী প্রত্যাশীরা বেকার থাকছেন।
কারণ এই এনটিআরসিএ পরীক্ষার মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি সনদ অর্জন করা যায়। পরবর্তীতে যে কোন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার জন্য কোন গণবিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন করতে হয়। অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পছন্দ তালিকায় নির্বাচন করা ইত্যাদি কার্যক্রম সহ সম্পন্ন করার পরেও সবাই কাঙ্খিত স্কুল কলেজ গুলোতে যোগদান করতে পারছেন না। তাই এ সকল বিষয় গুলি সংস্কারের লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারি মাসের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
লক্ষ্য ২০০৫ সালের পর এখন পর্যন্ত ১৮ টি শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। যে পরীক্ষাটির প্রিলি এবং লিখিত কার্যক্রমের পরে বর্তমানে ভাইভা চলছে। এমনকি ভাইয়া পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে অনেকে। ১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। অনলাইনে নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করার পর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করা হয়।