ঘুমানোর জন্য শক্ত নাকি নরম বিছানা ভালো

সারাদিন কাজকর্ম শেষ হয়ে রাতের বেলা বিছানায় এসে সবাই চায় শান্তির একটা ঘুম দিতে। পরের দিন সমস্ত কাজকর্মের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে ভালো একটি ঘুমের কোন বিকল্প নেই। কেউ আছেন যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন আবার কেউ কেউ আছেন সুন্দর এবং সাজানো গোছানো নরম বিছানা না হলে ঘুমাতে পারেন না।

তবে শক্ত বিছানা নাকি নরম বিছানা কোনটি আমাদের শরীরের জন্য ভালো? এ নিয়ে আমাদের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের বিতর্ক। উভয় ধরনের বিছানারই নিজস্ব কিছু গুণ রয়েছে। চলুন একে একে সেগুলো জেনে নেই।

ঘুমানোর জন্য শক্ত বিছানা কি ভালো?

• আমাদের মাঝে একটি কথা প্রচলিত আছে শরীরের এবং মেরুদন্ডের জন্য শক্ত বিছানা খুবই উপকারী। এতে করে আমাদের মেরুদন্ড এবং দেহ সোজা থাকে সেই সাথে ব্যথাও কম হয়।

• শক্ত বিছানায় ঘুমাইলে আমাদের শরীরের মধ্য দিয়ে রক্ত সঞ্চালন খুবই ভালো হয়। সেই সাথে দেহ সোজা থাকে বিধায় ভারসাম্য ভালো থাকে।

• এ ধরনের বিছানায় ঘুমানোর ফলে আমাদের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা অনেক ভালো থাকে। আবার শক্ত বিছানায় ঘুমানোর ফলে নাকি নাক ডাকার সমস্যা অনেক অংশে কমে যায়। তাছাড়া এ ধরনের বেড়ে কোলবালিশ নেওয়া অনেক সুবিধা জনক।

আপনি চাইলেই এ ধরনের বিছানায় ঘুমাতে পারেন। তবে অনেকেই এই ধরনের বেডে মানিয়ে নিতে পারেনা। তবে প্রথম দিকে কিছু অসুবিধা হলেও আপনি চাইলে কিছুদিন চেষ্টা করে অভ্যাস করে নিতে পারেন।

নরম বিছানায় শোয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

• যাদের কিনা গাটের ব্যাথা রয়েছে তার ক্ষেত্রে নরম বিছানা বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে করে ব্যথা কিছুটা কম হয়।

• যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদের ক্ষেত্রে সবচাইতে উপযোগী নরম বিছানা। আবার ও যাদের ওজন অনেকটাই কম তাদের মেরুদন্ডের সমস্যা থেকে রেহাই করে এই ধরনের বেড।

• আবার কি না কিছু মানুষ রয়েছে যাদের সব সময় পাশে ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস। এদের ক্ষেত্রে শক্ত বিছানা নয় বরং নরম বিছানায় সবচাইতে উপকারী। এতে করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সাথে একটি বন্ধন তৈরি হয়ে যায় এবং ব্যথা কমাঢ।

আসল কথা হচ্ছে আপনি যে টাইপের বেডে সবচাইতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন সেটি ব্যবহার করুন। তবে নরম বেডের চাইতে শক্ত বিছানার উপকারিতা বেশি বলা চলে। এখানে সবার আগে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে কিনা। বন্ধুদের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন এবং শরীরে কোন ধরনের সমস্যা না থাকে তাহলে শক্ত বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস করতে পারেন।

Leave a Comment