যেকোনো ধরনের মোটরযান চালানোর জন্য সবচাইতে প্রয়োজনীয় উপাদান হচ্ছে পেট্রোল। কিন্তু আপনি যদি আসল এবং নকল পেট্রোল চেনার উপায় না জানেন তাহলে প্রতারিত হতে পারেন। কারণ এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে নকল পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করে। আর এই ধরনের ভেজাল পণ্য মোটরযান এবং ইঞ্জিনের নানা ধরনের ক্ষতি জন্য দায়ী।
নকল এবং আসল পেট্রোল চেনার উপায়
প্রথমেই বলে রাখি, পেট্রোল কেনার সময় অবশ্যই তার গন্ধটি ভালোভাবে লক্ষ্য করবেন। যদি আসল পেট্রোল হয়ে থাকে তবে তার গন্ধ হবে বেশ কড়া। আর নকল পেট্রোলে যেহেতু অন্যান্য ভেজাল উপাদান মিশ্রিত করা থাকে তাই এর গন্ধ অনেকটা হালকা হয়ে যায়। এখানে মূল কথা হচ্ছে পেট্রোলের গন্ধ সাধারণ কিংবা স্বাভাবিকের চাইতে কিছুটা ভিন্ন মনে হয় তাহলে ধরে নিতে পারবেন সেটি নকল।
দ্বিতীয়ত, আপনি পেট্রোলের রং দেখেও এর আসল নকল চিনতে পারবেন। নির্ভেজাল পেট্রোল সবসময় হালকা হলুদ রঙের হয় কিংবা কোন ধরনের বর্ণবিহীন অর্থাৎ পানির মত হতে পারে। যদি সেটিকে দেখতে অনেক গাঢ় মনে হয় কিংবা অন্য রঙের হয় তাহলে ধরে নিন সেটি নকল।
পানি দিয়ে আসল নকল পেট্রোল পরীক্ষা করুন
আপনি চাইলে পানি দিয়েও ভেজাল পেট্রোল নির্ণয় করতে পারবেন। এর জন্য অল্প পরিমাণে পানির মধ্যে কিছু পরিমাণে পেট্রোল ঢেলে নিন। যদি সেটি ভেজাল মুক্ত হয় তাহলে পানির উপর ভেসে থাকবেন। আর যদি সেটাতে ভেজাল মিশ্রিত করা থাকে তাহলে রঙের পরিবর্তন হবে এবং পানির সাথে একবারেই মিশে যাবে।
কাগজ দিয়ে পরীক্ষা: প্রথমে একটি সাদা কাগজ নিয়ে তারপরে সেখানে কয়েক ফোঁটা পেট্রোল ঢেলে শুকাতে দিন। যদি পেট্রলটি আসল হয়ে থাকে তাহলে সেটা সম্পূর্ণরূপে বাতাসের সাথে মিশে যাবে এবং কাগজে কোন ধরনের দাগ হবে না। আর যদি সে নকল হয়ে থাকে তাহলে পুরোপুরিভাবে শুকানোর পরে দাগ থাকতে পারে।
জ্বালিয়ে পরীক্ষা: এর জন্য একটি ধাতব পাত্রে কিছু পরিমাণে পেট্রোল ঢেলে নিন তারপরে সেটিকে পোড়ানো চেষ্টা করুন। আসল পেট্রোল সব সময়ই সাদা রঙের ধোঁয়া উৎপন্ন করবে যেখানে নকল পেট্রোলের ধোঁয়া হবে কালো। এমনকি নকল পেট্রোল পুরোপুরিভাবে আগুনে পুড়ে নাও যেতে পারে।
আমরা হয়তোবা অনেক সময় বুঝে না বুঝে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল তেল ক্রয় করে থাকি। এর কারণে যে ইঞ্জিনের ক্ষতি হচ্ছে এবং এর কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে সেটি হয়তোবা টের পেতে অনেক দেরি হয়ে যায়। আর যখন আপনি বুঝতে পারেন ততদিনে বেশ খানিকটাই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। নকল পেট্রোল ব্যবহারের ফলে ইঞ্জিন মাঝে মাঝে আটকে যায়, মাইলেজ হ্রাস পায় কিংবা গাড়িটি দ্রুত গরম হয়ে যায়। আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না কি জন্য নতুন গাড়িতে কিংবা সবকিছু ঠিক থাকার পরেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
মূলত নকল পেট্রোল ব্যবহার করার কারণেই এই বিষয় গুলির উদ্ভব হয়।