নতুন ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসের লক্ষণ এবং প্রতিরোধ কি

করোনা মহামারীর তে আমরা দেখেছি একটিমাত্র ভাইরাস কিভাবে পুরো দুনিয়ার মানুষকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে পারে। ঠিক তেমনি ভাবেই অদ্ভুত নতুন একটি ভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছে যার নাম হচ্ছে ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাস।

এনটিটিভির প্রত্যেকটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আফ্রিকার দেশ উগান্ডার বুন্ডি বগিও জেলার কিছু মানুষ নতুন এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারী এবং কিশোরীরাই ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩১ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত।

ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে অত্যাধিক জ্বর এবং শরীরে বারবার কাঁপুনি হচ্ছে। যার কারনেই স্থানীয় ভাষায় ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছে ডিঙ্গা ডিঙ্গা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে যে ডিঙ্গা ডিঙ্গা শব্দটির অর্থ নাচের মত করে কাঁপা। তবে উক্ত দেশটির স্থানীয় চিকিৎসকরা এটির কারণ এবং প্রতিকারের উপায় বের করার জন্য নিরলস ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি এই রোগটি কেন ছুড়িয়ে পড়ছে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন তথ্য জানা যায়নি।

ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসের লক্ষণ

এই ভাইরাস দ্বারা যদি কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয় তাহলে তার শরীরে অনেক বেশি পরিমাণে কাঁপুনি হয়। এটি এই ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ। শরীরে কাঁপুনি হওয়ার পাশাপাশি জ্বর আসতে পারে, নাক, বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং সারা শরীরে ব্যথা হতে পারে। এমনকি রোগের প্রচন্ড রকমের মাথা ব্যথা হতে পারে।

তাছাড়া রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস করতে কষ্ট হয় এবং আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে।

ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসের প্রতিকার কি

দক্ষিণ আফ্রিকার উগান্ডার বুন্ডিবগিও জেলার একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন বর্তমানে ডিঙ্গা ডিঙ্গা রোগটি প্রতিরোধ করার জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সাথে দেশটির স্থানীয় চিকিৎসকগণ চিকিৎসার প্রদানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীদের মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে নাই।

তিনি আরো উল্লেখ করেন নতুন এই ভাইরাস এবং রোগের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো ভেষজ ওষুধ ভালোভাবে কাজ করছে এটি প্রমাণ করা যায়নি। তবে সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেক রোগীরাই ৭ দিনের মধ্যেই আবার সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি আরো পরামর্শ দিয়েছেন যে কোন মানুষের মধ্যে যদি ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে। সময়মতো চিকিৎসা নিলে এই রোগ হতে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Leave a Comment