২০২৫ সালের স্কুল গুলোতে ছুটির তালিকা প্রকাশ | মোট ছুটি ৭৬ দিন

সরকারি এবং বেসরকারি, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২৫ সালের সর্বমোট স্কুল গুলোতে ছুটি প্রদান করা হবে ৭৬ দিন।

এমনকি এই ছুটির তালিকা ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে পাঠানো হয়েছে। উত্তর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে ২০২৫ সালের প্রথম ছুটি হবে শবে মেরাজের ছুটি। চাঁদের উপর নির্ভরশীল হয়ে ছুটি নির্ধারিত হতে পারে ২৮শে জানুয়ারি।

আগামী বছর স্কুল গুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি অর্থাৎ শুক্রবার এবং শনিবার ছাড়াও সর্বমোট ৭৬ দিন থাকবে। তবে সবচাইতে লম্বা সময় ছুটি থাকবে হচ্ছে রমজান মাসে যেটিও চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। ২০২৫ সালের ২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই ছুটি মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ঈদুল ফিতরের ছুটি, জুমাতুল বিদা’র ছুটির স্বাধীনতা দিবসের কয়েকটি ছুটি। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরের ছুটি সব মিলিয়ে থাকবে ২৮ দিন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৫

তারপর যথারীতি ক্লাস শুরু হবে আটে এপ্রিল ২০২৫ থেকে। পরবর্তীতে আরও একটি লম্বা সময় স্কুল ছুটি থাকবে পবিত্র ঈদুল আযহা এবং গ্রীষ্মকাল অবকাশে। এই সময়টাতে সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ১ ওজন থেকে শুরু হবে এবং চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত।

তারপর দুর্গাপূজায় বন্ধ থাকবে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট ৮ দিন। অবশ্য লক্ষী পূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজ দহমসহ বেশ কয়েকটি ছুটিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরকার নির্ধারিত এ সকল হলিডে ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে আরো ৩ দিন সংরক্ষিত ছুটি রাখা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা প্রয়োজনের তিনি এই ছুটি গুলো প্রদান করতে পারবেন।

এই দীর্ঘমেয়াদি হলিডে গুলো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জাতীয় আন্তর্জাতিক দিবস ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ইত্যাদির ক্ষেত্রে হলিডে তো থাকবেই।

তবে সে নির্দেশনা আরো বলা হয়েছে যে কোন সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি প্রদান করা যাবে না। এমনকি কোন ধরনের সংবর্ধনা পরিদর্শন ইত্যাদি উপলক্ষে ও শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। শুধুমাত্র এসএসসি পরীক্ষার সময় যদি কেন্দ্র থাকে তাহলে সেই সময় ব্যতীত অন্যান্য সময় গুলোতে যথারীতি শ্রেণী কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।

Leave a Comment