নতুন নিয়ম অনুযায়ী তিনবার বিসিএস পরীক্ষায় ফেল করলে কি হবে

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বা বিসিএস পরীক্ষায় তিন বারের বেশি অবতীর্ণ হতে পারবেন না একজন প্রার্থী এমনটাই নিয়ম করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমাও করা হয়েছে ৩২ বছর। তিনবার পরীক্ষার এই নিয়মটি নিয়ে চাকরির প্রত্যাশীদের মনে বেশ ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন যে ৩ বার অবতীর্ণ হওয়ার শব্দটি দ্বারা আসলে কি বুঝানো হয়েছে সেটি অনেকটাই অস্পষ্ট। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজিওনা হাসান সুস্পষ্টভাবে কিছু উপস্থাপন করেননি। এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

শুধু তাই নয় বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম সাংবাদিকদের কে জানান এটিও আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আপনি যেটা দেখছেন আমিও সেরকমই ধারণা করছি। তবে প্রজ্ঞাপনের পর সমস্ত বিবরণ পাওয়া যাবে এবং ব্যাখ্যা গুলি বোঝা যাবে।

শুধু তাই নয় ইতিমধ্য যারা ৩ বার বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক সচিব আবু আলম মোঃ শহিদ খান বলেন, এটা ক্লিয়ারলি বা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আমাদের দেশে সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলোতে বেশ অস্পষ্ট থাকে। পরবর্তীতে আবার সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এখানেও সেরকম একটি ব্যাখ্যা আসবে বলে আশা করছি।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী তিনবার বিসিএস পরীক্ষায় ফেল করলে কি হবে

এছাড়াও তিনি জানান প্রার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকতে পারে। আমরা যেহেতু ইতিমধ্যে সরকারি চাকরি করছে তাই ভাষাটা অনেক ভাবেই বুঝতে পারি। যারা ইতিমধ্য একাধিক বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফেলেছেন এবং আরো বেশ কয়েক বছর অবশিষ্ট আছে তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়মটি প্রযোজ্য করা যাবে না, এরকমটা সাধারনত হয় না।

সুতরাং সবকিছু মিলে যারা সামনে বিসিএস পরীক্ষা অংশগ্রহণ করবেন এবং ইতিমধ্য যারা কয়েকটি পরীক্ষায় যোগ অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়েছেন তাদের সবাই প্রায় একটা ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন। আবার অনেকে রয়েছেন যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, বিসিএস পরীক্ষার ভাইবাও দিয়েছে তারাও নানা রকম প্রশ্ন করছেন।

বাংলাদেশের তরুণদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় হচ্ছে বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারের যোগদান করা। সামাজিক মর্যাদা আর্থিক সচ্ছলতা ইত্যাদির কারণে গ্রাজুয়েশন শেষ করেই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি শুরু করেন বিসিএসএর জন্য। আর এর পরীক্ষা পদ্ধতি ও বেশ দীর্ঘ সময় ধরে হয়ে থাকে।

প্রথম ধাপে নেয়া হয় ২০০ নম্বর প্রিলিমিনারী পরীক্ষা। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তারপর নেয়া হয় ভাইবা পরীক্ষা।

যে সকল পরীক্ষার্থী ভেবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদের পরবর্তীতে মৌখিক এবং ভেরিফিকেশন সহ বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয়। চূড়ান্তভাবে গেজেট প্রকাশিত হলে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করা হয় তাদেরকে।

সবকিছু ঠিক থাকলেও তিনবারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না এ নিয়ে এখনো মানুষের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের কৌতূহল।

Leave a Comment