১৯ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে টিকটক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানা গিয়েছে জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটির উপর একটি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে। এর ফলে নতুন ব্যবহারকারীরা অ্যাপটি ইন্টারনেট হতে ডাউনলোড করতে পারবেন না। তবে যাদের ফোনে এটি ইতিমধ্য ইন্সটল করা আছে তারা হয়তো কিছু সময় চালাতে পারবেন।
যখন ইউজাররা অ্যাপটি ওপেন করার চেষ্টা করবেন তখন পপ-আপ মেসেজ দেখতে পারবেন যেখানে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা সহ অন্যান্য তথ্যাবলী প্রদর্শিত হবে। সেই সাথে প্রতিটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ডাউনলোড করার সুযোগও প্রদান করা হবে। এতে করে ব্যবহারকারীরা কোনো ডাটা হারাবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রে রবিবার থেকে টিকটক বন্ধ করার বিষয়ে কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র। বর্তমানে এই অ্যাপটির কার্যক্রম সাভাবিকভাবেই চলছে। যদি কখনো এই নিষেধাজ্ঞা ঠিক প্রত্যাহার করে নেয়া হয় তাহলে ব্যবহারকারীরা আগের মতই এটি চালু করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে রবিবার থেকে বন্ধ হচ্ছে টিকটক
চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স মূলত TikTok অ্যাপটি পরিচালনা করে থাকে। তারা এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য প্রকাশ করেননি।
তবে চীনা কোম্পানির পক্ষ থেকে বাইডেন প্রশাসনের আইনের বিরুদ্ধে একটি আপিল করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সেই আপেলটি খরচ করে দিয়েছে। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে আগামী রোববার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে টিকটক।
এ ব্যাপারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগের একটি পোষ্টের মাধ্যমে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের রায়টি প্রত্যাশিত ছিল। এটাই প্রতি সবারই সম্মান করা প্রয়োজন এবং এ বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক বেশি দেরি হবে না। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমার সময় পাওয়া উচিত।
প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অ্যাপটি বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। এমনকি বিশ্ব বিখ্যাত সফটওয়্যার কোম্পানি microsoft অ্যাপটি (TikTok) কিনে নেওয়ার ব্যাপারটি সম্পর্কেও রাজি ছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে এসে মতামত পরিবর্তন করেছেন তিনি।
টিকটক বন্ধ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবহারকারীরা রেডনোট নামের আরেকটি অ্যাপের দিকে ঝুকে পড়েছেন। তারা ব্যাপক হারে এটি ডাউনলোড করেছেন এবং ইতিমধ্যে অ্যাপ স্টোরে এটি সেরা ডাউনলোড করা অ্যাপের তারিখে চলে এসেছে। রীতিমতো এটি tiktok এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি। তবে টিকটক বন্ধ হওয়ার বিষয়টি এবং বিধিনিষেধই কার্যক্রম কিভাবে সম্পন্ন হবে সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।