চারিদিকে তথ্য প্রযুক্তির জয়জয়কার। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পেয়েছি অত্যাধুনিক সকল ডিভাইস। যে সকল বিষয় গুলি ১ যুগ আগেও কল্পনা করা যেত না তা এখনো হাতের মুঠোয়। স্মার্টফোনের পাশাপাশি অনেকেই ১০০০ টাকায় সেরা বাটন মোবাইলেও খুঁজে থাকেন। অত্যাধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে সাধারণত খুব বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায় না। এমনকি যেখানে সেখানে পকেটে করে নিয়ে যাওয়া হবে বেশ অসুবিধা জনক।
অপরদিকে বাটন মোবাইল গুলো হাতের মুঠোয় রেখে যেকোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। এমনকি এক চার্জে চলে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। তাইতো সেকেন্ডারি ফোন হিসেবে একটি বার/ফিচার ফোন অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। বাসায় যাদের বৃদ্ধ মানুষ রয়েছে কিংবা শিশু বাচ্চা রয়েছে তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য প্রয়োজন একটি বাটন ফোনে। চলুন বছরের সেরা ফিচার ফোনগুলি কি কি এবং দাম কত তা জেনে নেই।
১০০০ টাকায় সেরা বাটন মোবাইল ২০২৫
আপনি নিশ্চয়ই শুনে অবাক করছেন ১ হাজার টাকায় ফোন পাওয়া যাবে কিনা। অবাক করার ব্যাপার হলেও বিষয়টি সত্যি। জনপ্রিয় অনেক মোবাইল ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানে রয়েছে যারা আপনাকে এই টাকায় ফিচার ফোন দেবে। অবশ্য অনেক দামী দামী ফিচার ফোন রয়েছে যেগুলো পাওয়া যায় মোটামুটি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে আজকে আমি কম বাজেটের ফোন গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
ওয়ালটন বাটন মোবাইলের দাম
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকট বাটন মোবাইলের মডেল রয়েছে যেগুলো আপনি ১০০০ টাকার কমে কিনতে পারবেন।
৮৫০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা বাজেটে আপনি সাধারণ কলিং সুবিধা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারী, সুন্দর ডিসপ্লে, অসাধারণ ডিজাইন এবং উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটির ফিচার ফোন পাবেন।
সেই সাথে রয়েছে টেকসই বডির সাথে একটি ফ্লাশলাইটের সুবিধা। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটনের Olvio L29, Olvio L28, Olvio L20 ইত্যাদি ফিচার ফোনের মডেল রয়েছে।
অন্যান্য কোম্পানির বাটন ফোনের দাম
সারা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় symphony ফোনও আপনি এই টাকায় পেয়ে যাবেন। তবে কোম্পানি যেটাই হোক না কেন সকল কোম্পানির ফিচার ফোনের সুবিধা গুলি প্রায় একই রকমের। সাধারণত ১০০০ মিলি আম্পিয়ার থেকে ২০০০ বা তার অধিক মিলি আম্পিয়ার পর্যন্ত ব্যাটারি থাকে।
ফিচার মোবাইলের ক্ষেত্রে আইটেলও বেশ জনপ্রিয়। ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা প্রাইজের মধ্যে বেশ বড় ডিসপ্লে পাওয়া যায়। দেশের বাজারে পুরাতন এবং নির্ভরযোগ্য আরো একটি ব্র্যান্ড হচ্ছে ম্যাক্সিমাস। এক সময় অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এদের বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এদের এন্ড্রয়েড ফোন বাজারে নেই বললেই চলে। ম্যাক্সিমাসের এম-১৮ এবং এম-২০ মডেল গুলো আপনি ১ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। সেই সাথে প্রতিটি বাটন ফোনেই থাকছে ২ সিম ব্যবহারের সুবিধা।
সেরা বাটন মোবাইল গুলি কেনার আগে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে
১ হাজার টাকায় বাটন মোবাইলের মডেল ও ব্র্যান্ড জানার পাশাপাশি আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেগুলি হল:
• ফোনে কতটুকু শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা যাচাই করে নিন।
• ফোনের সাথে বক্স, চার্জার, হেডফোন ইত্যাদি থাকছে কিনা সেটিও বুঝে নেয়া প্রয়োজন। বেশিরভাগ বাটন মোবাইলের সাথেই চার্জার এবং হেডফোন থাকে।
• যেকোনো ডিভাইসেই নানা ধরনের প্রবলেম হতে পারে। আপনার আশেপাশের সার্ভিস সেন্টার অ্যাভেলেবল আছে এই ধরনের ব্র্যান্ডের মোবাইলে কেনা প্রয়োজন।
উপরের ১ হাজার টাকায় সেরা বাটন মোবাইলের তালিকা গুলি থেকে নিজের জন্য একটি বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটন, symphony, itel কিউ মোবাইল, মাইক্রোম্যাক্স ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়।