চুলকানি দূর হয়ে যাবে এক মুহূর্তেই

এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল যারা কিনা কখনো চুলকানি দূর করার উপায় খুঁজে না বেরিয়েছেন। মাঝে মাঝে বিষয়টি এতটা অসহ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে যে কোন কুল কিনারা পাওয়া যায় না। নানা ধরনের মেডিসিন, ক্রিম ব্যবহার করেও যখন কোন সমাধান পাওয়া যায় না তখন প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোই একমাত্র ভরসা।

বাসায় বসে হাতের কাছে থাকা উপাদানগুলো ব্যবহার করে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর সেগুলো জানার জন্য নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন।

মুহূর্তে চুলকানি দূর করার উপায়

শুরুতেই আসি লেবুর ব্যবহার সম্পর্কে। অত্যন্ত পুষ্টিকুণ সমৃদ্ধ এই উপান্তরিত রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। আমাদের ত্বকে যে চুলকানি হয় সেখানে লেবুর রস লাগিয়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই কমে যাবে।

তারপর তুলসী পাতা। এর ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন। যুগ যুগ ধরে এটি বিভিন্ন রোগের নিরাময় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সাধারণ তুলসী পাতায় রয়েছে ইউজেনল বা অ্যান্সস্থেটিক উপাদান। আপনি একমত ফুটন্ত পানিতে ২০ টি তুলসী পাতা ছেড়ে দিন। তারপর ভালোভাবে জাল দিয়ে সেখান থেকে রস বের করে একটি পরিষ্কার তোয়ালের মাধ্যমে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। দেখবেন তুলসী পাতার ঔষধি গুনাগুনের কারণে আপনার চুলকানি দূর হয়ে গিয়েছে।

এলোভেরার ব্যবহার

রূপচর্চায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এই উপাদানটি। এমনকি চুলকানির সমস্যার দূর করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর জন্য খুব বেশি কিছু করতে হবে না শুধুমাত্র এলোভেরা পাতা থেকে রস বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন।

পুদিনা পাতা

এটিরও ইউনেজল এবং ইনফ্লেমটরি উপাদান সাধারণত চুলকানি দূর করতে সবচাইতে বেশি ভূমিকা পালন করে। আর এই সকল উপাদানও রয়েছে পুদিনা পাতায়। তুলসী মাতা আর মত করেই গরম পানিতে এটি জাল দিয়ে পানিতে ব্যবহার করুন।

অনেক বিশেষজ্ঞরা বেকিং সোডা ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমাদের রক্তে পিএইচ অর্থাৎ হাইড্রোজেনের ভারসাম্যহীনতাকে মোকাবেলা করতে পারে এই উপাদানটি। যার কারণে যে কোন ধরনের প্রধানিত সমস্যা সমাধান হিসেবে এটি কাজ করে।

আবার অনেক সময় পুরুষদের নিম্নাঙ্গ বিভিন্ন ধরনের তীব্র চুলকানি শুরু হয়। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, অফিসে, কর্মক্ষেত্রে, রাস্তাঘাটে এমন ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় যেটি বলার মত নয়। বিশেষজ্ঞরা এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার, সংক্রমণ, পরজীবী, ছত্রাকের, আক্রমণ ও কোন ইত্যাদিকে দায়ী করে থাকেন। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং পদক্ষেপ না নিলে এটি থেকে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি সিফিলিস, গনেরা, খোসপচড়ার লক্ষণ হিসেবে ওটা দেখা যায়।

গোসল করার সময় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যেমন সুগন্ধিযুক্ত সাবান, বিভিন্ন ধরনের ডিটারজেন্ট, টিস্যু ইত্যাদি ব্যবহার করার পর এলার্জি থেকেও চুলকানি হতে পারে। এ ধরনের চুলকানি দূর করার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেডিসিন গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Comment