অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা শুধুমাত্র তারাই বোঝেন যারা এর ভুক্তভোগী। সব সময় আমরা শরীরে ওজন কমানোর কথা ভেবে থাকি। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে অনেকেই ক্র্যাশ ডায়েট করার পরিকল্পনাও করে থাকেন। এতে করে মাত্র অল্প সময়ের ৫ থেকে ৭ কেজি ওজন কমানো সম্ভব।
ক্র্যাশ ডায়েপ করার জন্য সাধারণত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ওটস এবং পানি, দুপুরে একটা আপেল এবং সারাদিন মাত্র কয়েক গ্লাস ফলের রস খেয়েই কাটিয়ে দেন। তারপর সন্ধ্যা বেলা পান করেন শুধুমাত্র একটি গ্রিন টি। এই ধরনের ক্র্যাশ ডায়েপ গুলো বেশিরভাগ মানুষই কোন ডায়েটেশিয়ান কিংবা পুষ্টিবিদের সহায়তার সারাই শুরু করেন। এতে করে অল্প কয়েকদিনের ওজন কমলেও পরবর্তীতে শরীরে দেখা যেতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। যার মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন মাথা ঘুরে যাওয়া চোখের তলায় কালি পরা কিংবা কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া।
ক্র্যাশ ডায়েট করার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় গুলি মানা উচিত
• যেকোনো ধরনের ক্র্যাশ ডায়েট আমাদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির অভাব দেখা দেয়। কারণ প্রয়োজনের তুলনায় আমরা পেট খাবারের পরিমাণ অনেক কম গ্রহণ করি। যার কারণে আমাদের দেহকোষ পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট পায় না এবং শরীর অতিরিক্ত পানি শুষে নেয়। যার কারণে ডিহাইড্রেশনসহ না ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
• আমাদের শরীরে শক্তি আসে মূলত ক্যালরি থাকে। আর হঠাৎ করে কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার গ্রহণ শুরু করলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যার ফলে দেখা দেয় ক্লান্তি এবং অবসাদ ভাব। এমনকি কাজকর্মে অনীহা দেখ দিতে পারে।
• কোন মানুষ যখন ক্র্যাশ ডায়েটের মধ্যে থাকে তখন অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন ক্ষরনের প্রবণতা দেখা দেয়। যার কারণে বিষন্নতা থেকে ঘন ঘন মেসেজ পরিবর্তনসহ মানসিক সমস্যা হতে পারে।
• দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে আমাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত হয়। সেই সাথে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে গিয়ে সংক্রমনের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
• তারা সাধারণত অল্প দিনেই অনেক বেশি ওজন কমাতে চান। এভাবে সারাদিন খুবই অল্প পরিমাণ খেয়ে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেল আমাদের দেহ পায় না। যার কারণে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি তো খোদার উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। এমনকি চুল পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখাতে পারে।
অনেক পুষ্টিবিদরাই এই ধরনের ক্র্যাশ ডায়েট না করার জন্য দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। শারীরিক গঠন, বয়স এবং স্বাস্থ্যের কন্ডিশন অনুযায়ী ১ মাসে সাধারণ ডায়েট করে ৩ থেকে ৪ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু তার জন্য ক্রাশ ডায়েট না করে পুষ্টিবিদদের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন।