রমজানে মেট্রোরেলের সময়সূচি এবং ভ্রমণের নিয়ম

ঢাকায় বসবাসকারী যারা কিনা নিয়মিত অফিস করেন তারা সবাই মেট্রোরেলে ভ্রমণের সময়সূচি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। তবে পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে এই সূচি এবং নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার করে প্রেক্ষিতে ইফতারের সময় একজন ব্যক্তি ২৫০ মিলিলিটার পানি সাথে করে নিয়ে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল।

সাধারণভাবে মেট্রোরেল ভ্রমণের সময় এর অভ্যন্তরে খাবার খাওয়ার ওপর বিধি নিষেধ রয়েছে। অফ পিক আওয়ারে সাধারণত ১০ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে থাকে। আর পিক আওয়ারে সেটি ৮ মিনিট পরপর চলাচল করে। ঢাকার উত্তর পাশ থেকে যাত্রা শুরু হয় উত্তরা থেকে। তারপর উত্তরা বিএনএস সেন্টার, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কাওরান বাজার সহ বিভিন্ন স্টেশনে এটি যাত্রী উঠায় এবং নামায়।

ডিএমটিসিএলের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রোজায় মেট্রোরেলের নতুন সূচি এবং নিয়ম সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এমনকি পানি পান করার পর ব্যবহৃত বোতল অবশ্যই স্টেশনে এলাকা ডাস্টবিনে অথবা যথাস্থানে ফেলতে হবে। এছাড়া স্টেশনের অভ্যন্তরে অন্য কোন খাবার খাওয়া যাবে না।

কিভাবে ঢাকায় মেট্রোরেল ভ্রমণ করবেন

পবিত্র মাহে রমজানের প্রায় সকল অফিসেই সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। নতুন সচিব অনুযায়ী উত্তরা থেকে সর্বপ্রথম সকাল ৭ টা ১০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে। সেই সাথে সর্বশেষ ট্রেনের সময়সূচী হচ্ছে রাত ৯ টা।

অপরদিকে মতিঝিল স্টেশন থেকে সকালে প্রথম ট্রেনটির ছাড়া ৭ টায় এবং সর্বশেষ ট্রেনটি ছেড়ে যায় ৯ টা ৪০ মিনিটে।

সাধারণ যাত্রীরা যে কোন স্টেশনে প্রবেশ করে প্রথমে টিকেট কাটতে হবে। থেকে কাটার জন্য সেখানে অটোমেটিক কাউন্টার বুথ রয়েছে। যেখানে অন্য কোন বিক্রেতা কিংবা মানুষের সাহায্য ছাড়া এ নিজে নিজেই টাকা মেশিনের মাধ্যমে পরিশোধ করে টিকেট ক্রয় করা যায়। আবার ব্যবহৃত টিকেটটি ভ্রমণ শেষ করার পর অর্থাৎ ট্রেন থেকে বের হয়ে নির্ধারিত স্থানে জমা দিয়ে স্টেশন ত্যাগ করতে হয়। অবশ্য বেশ কিছু স্থানে সরাসরি মানুষের সাহায্যেও টিকেট বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আবার যারা কিনা নিয়মিত এর মাধ্যমে ভ্রমন করেন অর্থাৎ অফিস যাতায়াত করেন তারা নির্ধারিত সময়ের ভিত্তিতে কার্ড ক্রয় করে থাকেন। যার জন্য প্রতিদিনই তাদেরকে সকাল বেলার টিকেট ক্রয় করতে হয় না।

একটি টিকিটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে টাকা পরিশোধ করে তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসা নানা দর্শনার্থীরাও অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এটি ভ্রমণ করে থাকেন। যাতায়াতের সময় ঢাকা শহরে দৃশ্য উপভোগ করা যায়। কারণ সাধারণ ট্রেনের মত মাটিতে চলাচল না করে মাটি হতে অনেক উঁচুতে নির্ধারিত রাস্তার মাধ্যমে চলাচল করে থাকে। আর আমরা এটাও জানি এই ধরনের ট্রেনগুলো সাধারণত সরাসরি বিদ্যুতের ধারা চালিত হয়। যার কারণে বাড়তি কোনো শব্দ থাকে না এবং ঝাকিও তেমন নেই।

মেট্রোরেলের ভাড়া কত টাকা

আপনাদের সুবিধার জন্য আমি নিম্নে কয়েকটি স্থানের ভাড়া সম্পর্কে ধারণা প্রদান করলাম।

উত্তরা প্রথম স্টেশন থেকে ঢাকার আগারগাঁও পর্যন্ত ভাড়া ৬০ টাকা করে জনপ্রতি। একই ভাবে আগারগাঁও থেকে উত্তরা শেষ স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ৮০ টাকা। উত্তরা থেকে কাওরানবাজার কিংবা কাওয়ান বাজার থেকে উত্তরা পর্যন্ত ভাড়া ৮০ টাকা। শুরুর ষ্টেশন উত্তরা থেকে কাজীপাড়া পর্যন্ত ভাড়া ৪০ টাকা এবং কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হচ্ছে ১০০ টাকা।

আপনি যখন নির্ধারিত ক্রিকেট ক্রয় করতে যাবেন তখন সেখানে যাত্রা বা গন্তব্যস্থল নির্বাচন করার পর ভাড়া প্রদর্শিত হবে। প্রতিটি ব্যক্তি কিংবা ভ্রমণ কারের জন্য আলাদা আলাদা টিকিট ক্রয় করার প্রয়োজন পড়ে। তবে মেট্রোরেলে ভ্রমণের ভাড়া যাই হোক না কেন যাতায়াত খুবই আনন্দদায়ক এবং সময় সাশ্রয়ী। অফিস টাইম বিশেষ করে সকাল এবং সন্ধ্যাবেলা কিছুটা যাত্রীদের চাপ থাকে। তাছাড়া দিনের বেলায় মোটামুটি অনায়াসে এবং আরামদায়কভাবে ভ্রমন করা যায়। ভেতরে সিলেটের সুবিধা রয়েছে রয়েছে এয়ারকন্ডিশনের সুবিধা এবং দাঁড়িয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা।

আশা করি রোজার মেট্রোরেলের নতুন সূচি, ভাড়া এবং মেট্রোলের ভ্রমণের নিয়ম সম্পর্কে আপনারা কিছুটা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। ঢাকার মধ্য যারা যাতায়াত করে থাকেন তাদের জন্য এটি খুবই সুবিধাজনক। এর কারণ হচ্ছে পিক এবং অফপিক আওয়ারে ৮ এবং ১০ মিনিট পর করে ট্রেন পাওয়া যায়। সেই সাথে যানজটের কোন ঝামেলা নেই। অর্থাৎ উত্তরা থেকে আগারগাঁও কিংবা ফার্মগেট যেতেই মোটামুটি ৩০ মিনিটের মত সময় লাগে।

তবে ঢাকা মাস ট্রানজিট লিমিটেড জানিয়েছে রোজা উপলক্ষে ঘন ঘন ট্রেন চলাচল করবে এবং রোজার পরও বাড়তি ট্রেনের ধারাবাহিকতা থাকবে।

Leave a Comment