আলোচনা হচ্ছে ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকীকে নিয়ে। পাকিস্তানের এই স্নায়ু বিজ্ঞানী আবদ্ধ রয়েছেন মার্কিন কারাগারে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তার আইনজীবীর নাম হচ্ছে ক্লাইভ স্ট্যাফোর্ড স্টাফোর্ড। এর জন্য কোর্টে দাখিল করা হয়েছে ৭৬,৫০০ শব্দের একটি দলিল। যেটি মূলত আফিয়া সিদ্দিকীকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য সাহায্য করবে।
ব্রিটিশভিত্তিক এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন এই আবেদনের মাধ্যমে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকী আরও বলেন তিনি অন্যায়ের শিকার হয়েছেন এবং অনেক বেশি যন্ত্রনা তাকে সইতে হয়েছে। এত সময় ধরে কারাগারে থাকা তার জন্য সহজ বিষয় ছিল না। তবে ইনশাল্লাহ তিনি অবশ্যই মুক্তি পাবেন। এমনকি তার আইনজীবী ক্লাইভ স্ট্যাফোর্ড ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পাকিস্তানি এই স্নায়ুবিজ্ঞানীর আপিলের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিদায় নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইতিমধ্য ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ ২০ জানুয়ারি তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিদায়ী এই প্রেসিডেন্ট এখন পর্যন্ত তার ছেলে সহ সর্বমোট ৩৯ জন কে ক্ষমা প্রদান করেছেন। ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকী কে গ্রেফতার করা হয় মূলত ২০১০ সালে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ছিল একজন এফবিআই এজেন্টকে হ-ত্যা-র চেষ্টা করা। তারপর অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় ৮৬ বছর সাজা প্রদান করে। এমনকি বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে তার সম্পর্কের অভিযোগ করা হয়। তবে ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকীকে মুক্তি দেওয়া হলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল। সেই দলের একজন অন্যতম সদস্য হচ্ছেন ড. মোঃ ইকবাল জাইদি।
খুব শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছেন ড. আফিয়া সিদ্দিকী
ডক্টর জাইদি পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে বলেন আফিয়া বর্তমানে গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন। তিনি আশা করছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার সাজা কমিয়ে দেবেন। তবে কোন কারণে যদি বাইডেন পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তাহলে নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তারা যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ডক্টর জাইদি সাংবাদিকদের কে আরো জানান ইতিমধ্য একটি প্রতিনিধির দল আমেরিকায় গিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের জন্য। কিন্তু ভিসা পেতে বিলম্ব হওয়ায় তারা প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেনি। পরবর্তীতে বিশেষ কয়েকজন সিনেটর এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে তারা এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শাহাবাজ শরিফও প্রেসিডেন্ট কে এই বিষয়ে জানিয়েছেন এবং মুক্তি মন্জুর করার আহবান করেছেন।
ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকী ইতিমধ্য ১৬ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গিয়েছে এটি এমন একটি অপরাধ যার জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা প্রদান করা হতে পারে। তবে তাকে কারাগারে পূরণ করা হয়েছে ৮৩ বছরের সাজা দিয়েন যা খুবই বিরল ঘটনা। তিনি তার সন্তানদের কাছ থেকে অনেক বছর ধরে দূরে রয়েছেন। তার মুক্তির জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন পাকিস্তানের কোটি কোটি নাগরিক এবং বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মুসলিম। ডক্টর আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি আরো অনেক বেশি উন্নতি হবে বলে সবাই আশা করছেন।