মাহে রমজানের কয়েকটি রোজা শেষ হয়ে গিয়েছে। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে অসংখ্য মানুষ ঈদ করার জন্য গ্রামে কিংবা তাদের নিজ বাড়িতে পাড়ি জমাবে। তাইতো এই বিশাল উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বাস ও ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে আগামী ১৪ই মার্চ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
তবে কয়েকটি বড় বড় বাস কোম্পান চলতি মাসের মাঝে মাঝে সময় থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু। আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে পারে পবিত্র ঈদুল ফিতর এমনটি ধরে নিয়ে এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও আগামীতে এই টিকিট বিক্রি তাই সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানায়। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় সাধারণত যাত্রা শুরু দশদিন আগে থেকেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে থাকে। এবার রেলস্টেশনের কাউন্টারে কোন টিকিট বিক্রি করা হবে না বরং সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে এটি পাওয়া যাবে। যার কারণে এবার বাড়তি কোন আয়োজন করা হয়নি।
রেলওয়ের নেওয়া প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৪ শে মার্চের টিকিট বিক্রি করা হবে ১৪ই মার্চ। একইভাবে ২৫ শে মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ই মার্চ। একই নিয়মে ২৬শে মার্চের টিকিট অনলাইন হতে ক্রয় করা যাবে ১৬ মার্চ। এভাবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য টিকিটগুলি অনলাইন হতে যে কেউ কিনতে পারবেন।
এটিও জানা গিয়েছে যে এবারে ঈদ যাত্রায় বিভিন্ন পথে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হতে পারে। বিগত বছরে ঢাকা থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের প্রায় ৩০ হাজার টিকেট বিক্রি করা হয়েছে। এবারের আসন সংখ্যা আরো ৫ হাজার বেশি হওয়া হতে পারে। যেটি পূরণ করার লক্ষ্যে ট্রেনের বাড়তি কামরা যোগ করা হবে।
ঈদ উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি
ট্রেনের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ বাস পথেও বাড়ি ফিরে থাকে। ট্রেনের পরে এটি সাধারণ মানুষদের পরিবহনের জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম। এর আগে বিভিন্ন পরিবহন মালিক সংগঠন একটি নির্দিষ্ট দিন থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করতেন বলে বেশ হট্টগোল দেখা যেত। এমনকি যাতে ওদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যায়। কিন্তু এবার আর সরকারের পক্ষ থেকে এই অগ্রিম টিকেট বিক্রির দেশে তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। যার কারণে কিছু কিছু কোম্পানি নিজেদের মতো করেই এটি নির্ধারণ করতে পারবেন।
তবে যে সকল বাস টিকিটের চাহিদা বেশি সেগুলো হতে বাড়তি ভাড়া আদায় নেয়া হয় বলে অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পরিবহন মালিকরে বলেছেন এগুলো বেশিরভাগই অনলাইনে বিক্রি করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে এগুলো বিক্রি ঘোষণা দিলে অনলাইনে হোক কিংবা অফলাইনে হোক কিছুটা চাপ পড়ে। যার কারণে যাত্রীদের বেশ দুর্ভাগ্য হতে হয়। তবে ঘোষণা দেয়া হোক আর না দেয়া হোক ঈদের পূর্বের কয়েকদিন চাপ সবচাইতে বেশি থাকে।
আবার যারা ঢাকার আশেপাশে জেলাগুলোতে বাসায় বসবাস করে তারা সিএনজি, অটোরিক্সা, রিক্সা, লেগুনা ইত্যাদি যানবাহনে চলাচল করতে পারে। ঈদের উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর পরিমাণে প্রাইভেটকার ও এজাতীয় গাড়িগুলো যাতে এদেরকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে থাকেন। বর্তমানে মোটরসাইকেলের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিংয়েও যাতায়াত বেশ সহজ হয়েছে। তবে যারা অনেক দূরে বসবাস করেন যেমন ঢাকা থেকে রংপুর দিনাজপুর, পঞ্চগড়, বরিশাল, চট্রগ্রাম, খুলনা ইত্যাদি এলাকায় তাদের জন্য ট্রেন অথবা বাসে উল্লেখযোগ্য ভরসা।
আপনিও যদি ঢাকার বাইরে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে যান তাহলে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অথবা বাসের টিকিট আগেভাগেই ক্রয় করতে রাখতে পারেন।