ঘরে বসে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিন

ফ্রিল্যান্সিং, আন্তর্জাতিক লেনদেন ইত্যাদির ক্ষেত্রে আমাদের ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের খুবই প্রয়োজন হয়। কারণ দেশের বাইরে যে কোন লেনদেন করার ক্ষেত্রে সেটা তো আর টাকায় সরাসরি করা যায় না। এমন কি আপনার প্রিয় ফেসবুক পেজটি বুস্ট করার জন্য প্রয়োজন হবে এই কার্ডের।

আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে টাকা লেনদেন করি। কিন্তু যখনই আপনি বাইরের কোন দেশের সাথে অর্থ লেনদেন করতে যাবেন তখন সেটি ডলারে করতে হবে। আর যেই কার্ডের মাধ্যমে টাকাকে ডলারে কনভার্ট করা যায় কিংবা যে কার্ডে ডলারের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় তাকে আমরা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড বলে থাকি। আপনি যদি একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখন ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ঘরে বসে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন

আপনি যদি বাসায় বসে কিংবা কোন ধরনের বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই একটি কার্ড পেতে চান তাহলে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন হবে।

১। একটি সচল মোবাইল নম্বর
২। উপায় মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট
৩। জাতীয় পরিচয় পত্র
৪। নমিনি এবং তার এনআইডি কার্ড

বাংলাদেশের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেওয়ার পদ্ধতি

যদি আপনি ঘরে বসে এবং বাংলাদেশ থেকে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে চান তাহলে নিচের ধাপ গুলি অবশ্যই সঠিকভাবে অনুসরণ করবেন।

প্রথম ধাপ

প্রথমে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং উপায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। অবশ্যই অ্যাপের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করুন। উপায় অ্যাপে প্রবেশ করার পর নিচের দিকে প্রিপেইড কার্ড নামে একটি অপশন পেয়ে যাবেন। তারপর প্রিপেইড কার্ড লেখাটির উপর চাপ দিলে আপনি রিকোয়েস্ট নামের আরও একটি অপশন পেয়ে যাবেন সেটাতে চাপ দিন।

দ্বিতীয় ধাপ

দ্বিতীয় ধাপে আপনার সামনে একটি অ্যাপ্লিকেশন ফরম প্রদর্শিত হবে। আপনার ফোন নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র, এবং বাবা মায়ের নাম ইমেইল আইডি সহ অন্যান্য তথ্যগুলো লিখে চেক মার্ক করে পরের অপশনে যাওয়ার জন্য চাপ দিন।

এখানে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তথ্য গুলি শতভাগ সঠিক নিষেধ করুন। নামের বানান ভুল কিংবা যেকোনো ধরনের সাধারণ বলে পরবর্তীতে বিড়ম্বনায় করতে পারেন।

তৃতীয় ধাপ

ঘরে বসে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেওয়ার তৃতীয় ধাপে আপনাকে একজন নমনীর তথ্য দিতে হবে। নমিনি মূলত সেই ব্যক্তি যে কিনা আপনার অবর্তমানে অর্থের মালিকানা লাভ করবে।

এক্ষেত্রে এনমনির জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্ডের নাম্বার এবং এনআইডি অনুযায়ী অন্যান্য ইনফরমেশন গুলোর সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।

তৃতীয় ধাপের সকল তথ্য গুলির প্রদান করার শেষ হলে পরবর্তী অপশনে চলে যান।

চতুর্থ ধাপ

আপনি কোন ঠিকানা থেকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে রিসিভ করতে চান সেটা ঠিকান দিতে হবে। সেই সাথে স্বাক্ষরের একটি ছবিও আপলোড করতে হবে। আপনি আগে থেকেই সাদা কাগজে একটি স্বাক্ষর দিয়ে রাখুন।

চতুর্থ ধাপের সকল প্রক্রিয়া গুলো শেষ করার পরে আপনার সামনে একটি পপআপ প্রদর্শিত হবে। তারপর আপনার তথ্য গুলো যাচাই করে জানানো হবে বলে একটি নোটিফিকেশনও দেখানো হবে।

পঞ্চম ধাপ

সফলভাবে অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করার পর আপনার নাম্বার একটি মেসেজ আসবে। তার মাধ্যমে জানানো হবে আপনি যে কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন সেটির অনুমোদন করা হয়েছে। এই মেসেজটি পাওয়ার পর আপনাকে উপায় অ্যাপের ভেতরে প্রবেশ করে ৩০ দিনের মধ্যে ফি বাবদ ৫৭৫ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

ষষ্ঠ ধাপ

পেমেন্ট অর্থাৎ ফি পরিশোধ করার জন্য আপনার ভেতরে প্রবেশ করে প্রিপেড কার্ড অপশনটিতে চলে যান। তারপর সেখানে একটি পেমেন্ট বা পরিশোধ অপশন দেখতে পারবেন। সেটা চাপ দেওয়ার সদস্য তাই আপনার বিয়ের পরিমাণ এবং নামও চলে আসবে।

টাকা পরিশোধ করার জন্য আপনাকে পিন দিতে হবে এবং কনফার্ম করতে হবে। সফলভাবে টাকা পরিশোধ করা শেষ হয়ে গেলে আপনার পেমেন্ট কমপ্লিট হবে।

যখন আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের জন্য অর্থ পরিশোধ করবেন তারপর আপনার ফোনে একটি মেসেজ থাকবে এবং যেখানে লেখা থাকবে যে আপনার পেমেন্টের সফল হয়েছে সেই সাথে ১৫ দিনের ভিতরে আপনি কার্ডটি পেয়ে যাবেন বলেও নির্দেশনা দেয়া থাকবে। আপনি যখন ডাকযোগে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হাতে পাবেন তখন উপায়ের হেল্পলাইনে কল দিয়ে কাটে এক্টিভ করে নিতে হবে। উপায় কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে কথা বলার সময় ও আপনার সকল ধরনের তথ্য গুলো জানতে চাইবে এবং কার্ডটি একটিভ করে দিবেন।

Leave a Comment