অত্যন্ত দ্রুত সময়ে পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য আমরা আকাশ পথকে বেছে নেই। যেমন এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার জন্য বিমান অন্যতম একটি মাধ্যম। তবে এবার ব্যতিক্রমী ভাবে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন ব্যবসায়ী বর। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায়।
বলেন নাম রায়হান বাবু। তিনি পেশায় একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। তিনি থাকেন ঢাকাতে। গাইবান্ধায় বিয়ে করতে আসতে তিনি চড়েছেন হেলিকপ্টারে। গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তিনি অবতরণ করেন।
হেলিকপ্টার থেকে নামার পর তিনি পায়ে হেঁটেই কাছের কনের বাড়িতে যান। এতে সেখানে ভীড় জমেছিল উৎসুক সাধারণ জনতার। বিয়ের কনে ওই গ্রামের স্কুল শিক্ষক এনামুল হোসেন হারুনের মেয়ে নাইমা সুলতানা ঐশী। তিনি ভূগোল তৃতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছেন ঢাকার লালমাটিয়া কলেজে। আর হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে আসা বরের বাড়ি হচ্ছে মাগুরা জেলার সদর উপজেলায়। তার বাবা নাম হচ্ছে পাঞ্জাব আলী মোল্লা।
হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন ব্যবসায়ী বর
রায়হান বাবুল ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে ঢাকাতেই রিয়েল এস্টেটের বিজনেস করেন। তার বিয়ে উপলক্ষে বেশ ধুম ধাম আয়োজন করা হয়। এমনকি বিয়ের গেট ডেকোরেশন ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার সহ কোন কিছুরই যেন কমতি ছিল না। দুপুরের খাবার পর তাদের বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে এই বিয়ের দেনমোহর ধার্য করা হয় ১৬ লক্ষ টাকা। এমনকি সকল বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করে নববধূকে নিয়ে তিনি হেলিকপ্টারে করেই নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
গ্রাম এলাকায় এই ধরনের একটি আয়োজনে দেখতে আশেপাশে বেশ ভীড় জমিয়ে ছিলেন শিশু, কিশোর, নারী-পুরুষ সক বিভিন্ন বয়সে লোকজন। হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে আসায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেশ খুশি হয়েছেন। এমনকি গ্রামের মানুষেরাও এটাকে বেশি উপভোগ করেছেন।
একটি মানুষের জীবনের অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে বিয়ে। এটাকে নিয়ে সবাই অনেক স্বপ্ন থাকে। এমনকি সবাই চায় ধুমধাম একটি আয়োজন করা। সকল বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন পাড়ার প্রতিবেশীকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর ইচ্ছে সবাই থাকে। সবাই যথাসাধ্য চেষ্টা করে। অনেকেই আবার ব্যতিক্রমের ঘটনাও করে থাকে। হেলিকাপ্টারে করে বিয়ে করতে চাওয়ার ঘটনা এটি প্রথম নয়। এর আগেও অনেকেই বরযাত্রীর হিসেবে ব্যবহার করেছেন এই আকাশযানটি। সেরকম ঘটনা আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর আগেও দেখেছি।