অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদনের নিয়ম

শুরু হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন। অনলাইনে এই অ্যাপ্লিকেশনটি করত প্রয়োজনীয় ফিহ সকল নিয়মকানুন চলুন জেনে নেই। যারা কিনা ২০২৩ সালের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অধীনে স্নাতক ফার্স্ট ইয়ার পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের ফলাফল ইতিমধ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে কাঙ্খিত রেজাল্ট না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ হয় পুনরায় সেটি পরীক্ষা করে দেখার।

যার জন্য একটি সুযোগ প্রদান করা হয় দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডে। কোন শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ করার অনলাইনে আবেদন করতে পারবে আগামী ১৫ই এপ্রিল ২০২৫ বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এই আবেদন সাবমিট করার জন্য একটি পত্রের জন্য প্রদান করতে হবে ১২০০ টাকা। এটি হচ্ছে আবেদনের ফি।

অনার্স প্রথম বর্ষর খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথমে ফরম পূরণ করতে হবে। ফরম ফিলআপ করার সময় শিক্ষার্থীর একাডেমিক তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে অনলাইন হতেই পে স্লিপ ডাউনলোড করে সোনালী ব্যাংকের বাংলাদেশের যেকোনো শাখা হতে টাকা জমা দিতে হবে। আবার অনলাইনে পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করেও এই অ্যাপ্লিকেশন ফি সাবমিট করা যাবে।

এর জন্য প্রার্থী রকেট, নগদ, বিকাশ, আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, মাস্টার কার্ড, এমনকি সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকেও সরাসরি টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। নির্ধারিত সময়ের ভিতরে এই আবেদনের ফি প্রদান করা না হয় তাহলে অ্যাপ্লিকেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে। সকল প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সাবমিট করার পর টাকা জমা দিলেই আবেদনপূরণ সম্পন্ন হবে।

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে পত্র কোড অবশ্যই সতর্কতার সহিত প্রদান করতে হবে। যদি এই বিষয়ে কোড ভুল হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে এটি সংশোধন করার কোন সুযোগ নেই। এতে করে একজন শিক্ষার্থী যে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে এর পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে চেয়েছেন সেটি আর হবে না।

অনলাইনে আবেদনের ঠিকানা: এখানে

প্রতিবছরে বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এটি সাধারণত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। এই বোর্ড অবস্থিত গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায়।

আমরা জানি যে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষায়ও ফলাফল প্রকাশের পর খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের সুযোগ রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে এটিও বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে বোর্ডের অধীনে আবেদন করতে হয় খাতা চ্যালেঞ্জের জন্য। সংশোধিত রেজাল্ট পরবর্তীতে অনলাইনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

আবার অনেক শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্ন রয়েছে যে যদি চ্যালেঞ্জের আবেদন করার পর রেজাল্ট অর্থাৎ পয়েন্ট কম আসতে পারে কিনা। এক্ষেত্রে সাধারণত পয়েন্ট কম আসে না। যদি নম্বর বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটি নতুন করে রেজাল্টের সাথে আপডেট করে দেওয়া হয়। এমনকি যাদের সার্টিফিকেট ইতিমধ্য চলে এসেছে তারা নতুন করে নম্বর পাত্র নিতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই সরাসরি গাজীপুর গিয়ে উপস্থিত হয়ে সংশোধিত নম্বরপত্র সংগ্রহ করতে হয়।

Leave a Comment