আর অল্প কিছুদিন পরেই নেমে আসছে গ্রীষ্মকাল। তীব্র গরমে বাইরে থাকার পাশাপাশি রুমের ভেতরেও থাকা অনেকটা কষ্ট হয়ে পড়ে। তাইতো অনেকেই আগে ভাগে কিনে ফেলছেন একটি এয়ারকন্ডিশনার। আবার ইনভার্টার এসির সুবিধা এবং এটি আসলে কিভাবে কাজ করে সেটিও জানা জরুরী। কারণ এটাতে রয়েছে লেটেস্ট এবং সবচাইতে গ্রেটেস্ট টেকনোলজি।
বেশিরভাগ সেটা তো আপনি অন্তত যন্ত্র গুলোই ১০০% ক্যাপাসিটিতে চলে। এর কারণে বিদ্যুতের অপচয় হয় এবং প্রতিমাসে অর্থেরও অপচয় হয়ে থাকে। আর এই বিষয়টিকে সমাধান করার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ইনভার্টার এসি।
ইনভার্টার এসি কি
আপনি নিশ্চয়ই মনে মনে ভাবছেন এয়ারকন্ডিশনারের মধ্যে ক্যাটাগরির কি পার্থক্য রয়েছে। সকল যন্ত্রই এই বিজ্ঞানের সুবাদে দিন দিন উন্নত হচ্ছে।। শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই অনেক হাই এফিসিয়েন্ট কুলিং পারফরম্যান্স দিতে পারে একটি আধুনিক সেটাত যন্ত্র।
অন্য সাধারণ যন্ত্র গুলি যখন শতভাগ ক্যাপাসিটিতে চলে তখন এটি থেমে থেমে চলতে থাকে। এই ইনভার্টার এসির মধ্য এমন যন্ত্র বা সিস্টেম থাকে যা রুমের সাইজ তাপমাত্রা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে আস্তে আস্তে ঘরকে ঠান্ডা করতে থাকে। যেখানে অন্যান্য এসি বাতাসে রুম ভরিয়ে দেয় সেখানে এটি প্রয়োজন অনুসারে আপনাকে তাপমাত্রা প্রদান করবে। যার কারণে অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
ইনভার্টার এসির সুবিধা এবং এটি কেন কিনবেন
১। আগেই উল্লেখ করেছে এটি অপেক্ষাকৃত কম বিদ্যুৎ খরচ করে। অর্থাৎ রুম যদি এমনিতে ঠান্ডা থাকে তাহলে এটা কম পরিমাণে চালু থাকবে।
২। হঠাৎ করে পাশের বাড়িতে বিদ্যুতের লোডের যদি কোন পরিবর্তন আসে তাহলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। যার কারণে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৩। অন্যতম সুবিধা হচ্ছে এটি যে কোন সাইজের রুমে ব্যবহার করা যায়। অন্য সাধারণ যন্ত্র গুলো যেখানে সব ধরনের রুমে ভালোভাবে কাজ করতে পারে না সেখানে এটি মোটামুটি ছোট বড় যে কোন ধরনের পারফেক্টভাবে কাজ করতে পারে।
৪। একজন ব্যবহারকারী চাইলে ভালো মানের সোলার পাওয়ার দিয়েও এই এসি চালাতে পারেন।
৫। অন্যান্য শীতাতপ যন্ত্রের তুলনায় এটি শব্দ অনেক কম এবং ভাইব্রেশনও তেমন হয় না।
এছাড়াও ইনভার্টার এসির সুবিধার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটার কম্প্রেসার দীর্ঘদিন ধরে ভালো থাকে। অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি লাগাতার ভাবে চালু না থেকে যখন প্রয়োজন তখনই চালু হয়। এবং যখন খুব বেশি প্রয়োজন হয় না তখন এটির স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অফ থাকে।
কত তাপমাত্রায় এসি চালালে বিদ্যুৎ বিল সবচাইতে কম আসে
এর আসলে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। তবে সাধারণভাবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি রাখা ভালো অপশন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করে। অর্থাৎ ২৪ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেট করে রাখতে পারেন। এর ফলে ঘরে যেমন দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায় ঠিক তেমনি ভাবে বিদ্যুৎ খরচে অনেকটাই কমে যায়। আর যদি সেটাতো যন্ত্রের ক্যাপাসিটর তুলনায় এবং অনেক বেশি বড় হয় তাহলে সারাক্ষণই যন্ত্রটি চালু থাকবে এবং বিদ্যুতের ব্যবহারের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
তবে যে কোন এয়ারকন্ডিশন কেনার আগে অবশ্যই সেটার ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি এবং সার্ভিসিং এর সুবিধা গুলি সম্পর্কে ভালোভাবে আলাপ করে নিবেন। এই ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র গুলো আমরা সাধারণত দীর্ঘদিন ব্যবহার করে থাকি। তাই সকল ফিচার সম্পর্কে আগে থেকেই ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।