লাইফ সাপোর্টে আছেন কলরব শিল্পী আহনাফ খালিদ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্প গোষ্ঠী কলরবের শিল্পী আহনাফ খালিদ বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তাকে ভর্তি করানো হয়েছে ঢাকার শান্তিবাগে অবস্থিত বি এন কে হসপিটাল লিমিটেড। আহনাফ খালিদের পরিবার থেকে দেশবাসীর কাছর বিশেষ দোয়া যা হয়েছে। এ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন কলরব শিল্প গোষ্ঠীর নির্বাহী পরিচালক শিল্পী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান।

তিনি আরো জানান বর্তমানে আহনাফ খালিদ একটি গুরুতর সিচুয়েশনে রয়েছেন। হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সাথে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। হাসপাতালে আহনাফ খালিদের পরিবার এবং কলরবের টিম সহ অন্যান্য আপনজনেরা উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে ফেসবুকে করা একটি স্ট্যাটাসে বদরুজ্জামান পোস্ট করেছিলেন প্রিয় ভাই আহনাফ খালিদ। তোমার জন্য সারা দেশে পাশের মানুষ দোয়া করছে, কান্না করছে, তুমি তাড়াতাড়ি ফিরে আসো ভাই। আল্লাহ ফিরিয়ে দাও।

লাইফ সাপোর্টে আছেন কলরব শিল্পী আহনাফ খালিদ

জানা গিয়েছে শিল্পী আহনাফ খালিদ গতরাতে জামালপুর হতে একটি প্রোগ্রাম শেষ করে ঢাকায় ফিরছিলেন। কিন্তু ঢাকায় ফেরার পর তিনি তার টিম থেকে আলাদা হন এবং আনুমানিক সময় ৪ টার দিকে মোটরসাইকেলে করে একা একা বাসায় যাচ্ছিলেন। তারা ধারণা করছেন যে বাইকে তার এই দুর্ঘটনা ঘটে। মূলত রাজধানীর শনির ণখড়া থেকে সাইনবোর্ড এই জায়গার মধ্যে যখন তার দুর্ঘটনা হয় তখন তার সাথে কেউ ছিল না। পরবর্তীতে সাথে সাথে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঢাকা মেডিকেলের ইমারজেন্সি থেকে বলা হয় আহানাফ খালিদকে দ্রুত life support দিতে হবে তা না হলে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা করতে পারে।

কলরব মূলত বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি শিল্প গোষ্ঠী যারা বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক অনুষ্ঠান করে থাকেন। এমনকি তারা ইতিমধ্য বেশ কয়েকটি অ্যালবামও প্রকাশ করেছে। ইসলামিক গজল এবং সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। কলরব শিল্পীগোষ্ঠী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করার পাশাপাশি ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও নানা ধরনের ভিডিও আপলোড করে। কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসটি অবস্থিত ঢাকার পুরাতন পল্টন প্লাজায়। এমনকি এই শিল্প গোষ্ঠীতে বেশ কয়েকজন শিল্পী রয়েছে। যার মধ্য আহনাফ খালিদ একজন।

বর্তমানে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার পর এখন ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি।

Leave a Comment