রেলওয়ের খালাসী পদের কাজ কি এবং বেতন কত

বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত খালাসী পদের কাজ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। মাঝে মাঝেই এই পদে জনবল নিয়োগ প্রদান করার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। আপনি যদি এই পোষ্টের বেতন কাজ এবং অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

রেলওয়ে খালাসী পদের কাজ কি

মূলত মালামাল উঠানো এবং নামানোর কাজ করে থাকেন এই পদের কর্মচারীরা। রেলওয়ে যোগাযোগ মাধ্যম গুলির মধ্যে অন্যতম এবং নিরাপদ। একই সাথে অনেক মানুষ ভ্রমণ করা যায় এবং অনেক ধরনের ভারী জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়ার কাজে রেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এমনকি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে রেলযোগে অনেক মালামাল ও দেশের অভ্যন্তরে আসে এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই সকল ভারী মালামাল কিংবা যাত্রীদের পরিবহনকৃত ভারী জিনিস গুলি শুধুমাত্র তাদের পক্ষেই নামানোর সম্ভব নয়। তাই খালাসী পদের কাজ হচ্ছে এই সকল মালামাল নামানো এবং উঠানোর কাজে সহায়তা করা।

এছাড়াও একটি ট্রেনের বগি, ইঞ্জিন, রেলওয়ে স্টেশনের পাথর দেওয় ইত্যাদি কাজ করে থাকেন খালাসীরা। শুধুমাত্র রেলওয়েতে যে এই পদে যে লোক নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে বিষয়টি তেমন নয়। বিমানবন্দর, জাহাজ, স্টীমার ইত্যাদি স্থানেও ভারী বস্তু মালামাল ইত্যাদি আনা নেওয়ার কাজে খালাসী পদের লোকগণ নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে। আবার সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও খালাসে নিয়োগ করা হয়।

খালাসী পদের বেতন কত

বাংলাদেশ সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী এই পদটি মূলত ২০তম গ্রেডের। সেই হিসেবে চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি বেতন স্কেলের সর্বনিম্ন ধাপে বেতন পান খালাসী পদে কর্মরতরা। উক্ত বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রতি মাসে ৮ হাজার ২৫০ থেকে ২০ হাজার ১০ টাকা পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। এই পদে আবেদন করার জন্য আগে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত প্রয়োজন হতো। কিন্তু বর্তমানে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ যোগ্যতা এবং শর্ত পূরন সাপেক্ষে যে কেউ আবেদন করতে পারবেন।

তবে খালাসী পদের কাজ যেহেতু ভারী মালামাল ওঠা নামা করা তাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তিদেরই এই পদে আবেদন করা উচিত।

এ পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষা মূলত হয়ে থাকে ২টি ধাপে। প্রথম ধাপে ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয় যেটা দেওয়ার জন্য সময় বরাদ্দ থাকে ৬০ মিনিট। লিখিত পরীক্ষায় পাস করার জন্য কমপক্ষে ৩৫ নম্বর পেতে হবে। বাংলাতে ২০, ইংরেজিতে ২০, গনিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে। যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তারাই পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

Leave a Comment