শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ কাকে বলে এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কি। সাধারণত যে সকল পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থ পাওয়া যায় না তাদেরকে বলা হয় মৌলিক পদার্থ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় হাইড্রোজেন (H), কার্বন (C) ইত্যাদি। অর্থাৎ এ সকল পদার্থ গুলোকে যতই বিশ্লেষণ করা হোক না কেন অন্য কোন পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যাবে না।
আবার যে সকল পদার্থকে ভাঙলে বা বিশ্লেষণ করলে ওই পদার্থ ছাড়াও দুই বা ততোধিক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায় তাদেরকে বলা হয় যৌগিক পদার্থ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পানি যেটা রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে H2O (H), অর্থাৎ একটি পানীয় উপাদানকে ভাঙলে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন (O) পাওয়া যায়।
মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য কি কি
১। মূল পার্থক্য হচ্ছে মৌলিক পদার্থকে ভাঙলে শুধুমাত্র একটি পদার্থের উপাদান পাওয়া যায় এবং যৌগিক পদার্থকে ভাঙলে ২ বা তার অধিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পদার্থের উপাদান পাওয়া যায়। ***
২। মৌলিক পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে অন্য ধর্ম বিশিষ্ট কোন পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায় না। কিন্তু যৌগিক পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে এমন কিছু পদার্থ পাওয়া যেতে পারে যেগুলোর বৈশিষ্ট্য সেই যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য হতে ভিন্ন।
৩। প্রকৃতিতে পাওয়ার বিভিন্ন ধরনের মৌলিক পদার্থ হলো কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), লোহা (H) ইত্যাদি। আর প্রকৃতিতে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের যৌগিক পদার্থের উদাহরণ হলো পানি, লবণ ইত্যাদি।
৪। যে কোন আমলে পদার্থের সবচাইতে ক্ষুদ্রতম একক হল পরমাণু এবং যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক হল অনু।
৫। কোন মৌলিক পদার্থকে ভাঙলে ৩টি উপাদান পাওয়া যায় যেগুলোর নাম হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন। আর যদি কোন যৌগিক পদার্থকে বিশ্লেষণ করা হয় কিংবা ভাঙ্গা হয় তাহলে একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়।
৬। মৌলিক এবং যৌগিক পদার্থের পার্থক্য গুলোর মধ্যে হচ্ছে মৌলিক পদার্থের পরিমাণ সীমিত। কিন্তু যৌগিক পদার্থের পরিমাণ অসীম।
যেহেতু একটি যৌগিক পদার্থ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হয় তাই এটি পরীক্ষাগারে কিংবা যেকোনো পদ্ধতিতে তৈরি করা যায়। তাই ভবিষ্যতে যদি তাদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু মৌলিক পদার্থের যেহেতু একটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য থাকে তাই এটি তৈরি করা সম্ভব নয়। প্রকৃতি থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের মৌলিক পদার্থ পেয়ে থাকি। যেগুলোর সমান নয় আবার তৈরি করা হয় যৌগের পদার্থ।
আশা করি পদার্থ কাকে বলে এবং এদের পার্থক্য সম্পর্কে তোমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয়েছে।