এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির জন্য আবেদন করার নিয়ম প্রকাশ

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এর জন্য ইতিমধ্য এনটিআরসিএ বা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলে নীতিমালা ২০২৪ প্রণয়ন করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই নীতিমালাটি প্রকাশিত হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে এর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। যারা কিনা এনটিআরসি এর মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন তাদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য হবে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির জন্য সাধারণ শর্তাবলী

১। যারা বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত অবস্থায় আছেন তাদের প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির শূন্য পদের চাহিদার বিবরণ প্রকাশ করা হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। এটি অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।

২। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ থাকার সাপেক্ষে মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর হতে বদলির জন্য আহ্বান করা হবে।

৩। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির জন্য সেই সমমান পদের যদি শূন্য পদ থাকে তাহলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আদেশ জারি করা হবে। সকল প্রক্রিয়া শেষ করার পর শিক্ষকদের কে ৩০শে ডিসেম্বরের মধ্যেও নতুন কর্মস্থল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে।

৪। যে সকল শিক্ষকদের জন্য আবেদন করবেন সেটিও নির জেলায় হতে হবে। তবে নিজের জেলায় যদি কোন প্রতিষ্ঠানে শুন্য পদ না থাকে তাহলে অন্য কোন বিভাগের যে কোন জেলায় শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে এপ্লিকেশন করতে পারবেন।

৫। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির জন্য অবশ্যই চাকুরীর বছর ২ বছর পূর্ণ হতে হবে। আবার নতুন কর্মস্থলে বদলি হয়ে যোগদান করার পর ন্যূনতম ২ বছর কাজ করে পরবর্তীতে আবার ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৬। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত একজন শিক্ষকদের কর্মজীবনের সর্বোচ্চ ২ বার আবেদন করতে পারবেন। তবে শিক্ষিকেরা তিনবার অ্যাপ্লিকেশন করার সুযোগ পাবেন।

৭। যদি একটি পদের বিপরীতে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায় তাহলে জ্যেষ্ঠতা, নারী এবং দূরত্বের বিষয় গুলি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার প্রদান করে পোস্টিং প্রদান করা হবে। চাকরিতে যোগদানের দিন থেকে সাধারণত সিনিয়রিটি গণনা করা হয়।

আবার কারো কর্মস্থল যদি একই উপজেলায় হয়ে থাকে তাহলে দূরত্ব বিবেচনা করে সেটি নির্ধারণ করা হবে।

৮। বদলির জন্য দূরত্ব পরিমাপের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জনপ্রশাসনের মন্ত্রণালয় মডেল অনুসরণ করা হবে।

শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য

যদি কোন প্রার্থী অসম্পূর্ণ কিংবা ভুল তথ্য সংবলিত আবেদন করেন তাহলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রদান করে তাহলে সেটা প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান থেকে ১ বছরে মাত্র ১জন শিক্ষকই ট্রান্সফারের সুবিধা পাবেন।

কিভাবে এই বদলি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে?

বাংলাদেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তৈরি করা সফটওয়্যার এবং অনলাইন আবেদন ফরম্যাটের মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করা হবে। যে সকল শিক্ষকগণ ট্রান্সফার হবেন তাদের পূর্বের প্রতিষ্ঠান গুলো হতে ইনডেক্স অনলাইনের মাধ্যমে নতুন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হবে। এমনকি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার পরেও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা এবং সিনিয়রিটির ধারাবাহিকতাও বজায় থাকবে। তবে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য কোন ধরনের একটি যাতায়াত খরচ কিংবা ভাতা প্রদান করা হবে না।

Leave a Comment