মুখের রুচি বাড়াবেন কিভাবে

একদমই খেতে ইচ্ছা করে না মুখের রুচি বাড়ানোর উপায় কি? এই প্রশ্নের জন্য নানার জনে নানা ধরনের সমাধান দিয়ে থাকেন। গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, যকৃত, কিডনির সমস্যা, জ্বর, ওষুধের সাইড ইফেক্ট, মানসিক চাপ, বিষন্নতা, টেনশন ইত্যাদি থেকে একটি কমন সমস্যা তৈরি হয় মুখের অরুচি। বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবার ক্ষেত্রেই এই অসুখটি হতে পারে।

তবে অসুখ নিয়ে তো আর বসে থাকলে চলবে না। কারণ ঠিকমতো খেতে না পারলে কিছুদিন পর স্বাস্থ্যহীনতা দেখা দিতে পারে। আবার খাবারের স্বাদ ঠিক ঠাক থাকার পরেও অনেকের সেটি ভালো লাগেনা। চলুন এর সমাধান কি সেগুলো দেখি।

মুখের রুচি বাড়ানোর উপায়

খাবার মধ্য পানি খাওয়া

ভাত কিংবা ভারী যে কোন খাবার শুরু করার আগে মাঝখানে কিংবা সাথে সাথে পানি খাওয়াটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। চেষ্টা করুন খাওয়া খেতে বসার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে থেকে পানি না খাওয়া।

খাবারের গন্ধ

প্রতিটি খাবারেরই আলাদা একটি গন্ধ ও রং থাকে। স্বাদ ছাড়াও রং বা গন্ধ খাবার ভালো লাগার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরিবেশন করার সময় এটি আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করুন। গন্ধ পরিবর্তন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সবুজ উদ্ভিদ, পাতা, মসলা ব্যবহার করতে পারেন।

নিয়মিত ব্যায়

সারাদিন ঘরে অলস বসে থাকলে সেখান থেকে অরুচি দেখে দিতে পারে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন হাঁটুন। এতে করে বিপাক প্রক্রিয়া ভালো হবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এবং মুখের রুচি বৃদ্ধি পাবে।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

জ্বর, ঠান্ডা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের অসুখ এবং এই অসুখের ফলে মেডিসিন থেকে পাশের প্রতিক্রিয়া হয়ে খাবারের অরুচি দেখা দেয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন কিংবা রুচির বর্ধক মেডিসিন খেতে পারেন।

মজাদার মসলা

মুখের রুচি বৃদ্ধি করার উপায় হিসেবে গোলমরিচ, এলাচি, আদা, রসুন ইত্যাদি মসলা এবং আচার ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো ধরনের মাংস আমিষ জাতীয় খাবারের সাথে আচার ও টক জাতীয় উপাদান গুলি বেশ ভালো কার্য করে।

ভাজাপোড়া ও ফাস্টফুড খাবার

বাইরে থাকলে আমরা নানা ধরনের কোল্ড ড্রিংকস, ভাজাপোড়া, কোমল পানীয়, চিপস ইত্যাদি খেয়ে থাকি। এগুলো আমাদের পেটকে সহজে ভরিয়ে দেয় এবং ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো খাওয়া বাদ দেন।

মুখের রুচি বাড়ানোর জন্য আমলকির গুঁড়ো পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া চায়ের সাথে কিংবা গরম পানির সাথে আদা, পুদিনা পাতা, এলাচ গুঁড়া দিলে পেট ভালো থাকে এবং রুচিও বৃদ্ধি পায়।

আর যদি এ সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকে তাহলে মুখে বিচি বৃদ্ধি করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন গ্রহণ করুন।

Leave a Comment