কিভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের প্রাইভেসি পলিসি পেজ তৈরি করবেন

একটি ওয়েবসাইটকে প্রফেশনাল এবং ভালোভাবে উপস্থাপন করার জন্য বেশ কিছু ধার অতিক্রম করতে হয়। কনটেন্ট পাবলিশের পাশাপাশি পেজ গুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই আবার ব্লগ ওয়েবসাইটের প্রাইভেসি বলে পেইজটিকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু গুগল এডসেন্স এবং অন্যান্য বিষয় গুলির জন্য এই পেজটি খুবই গুরুত্বপূর্ এবং অপরিহার্য।

আবার যারা মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম অর্থাৎ গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান তাদের জন্য ব্লগের প্রাইভেসি, টার্মস এন্ড কন্ডিশন ইত্যাদি পেজ গুলো অবশ্যই তৈরি করতে হবে। কারণ গুগল এডসেন্স টিম এই পেজ গুলো খুবই ভালোভাবে যাচাই করে।

ব্লক ওয়েবসাইটের প্রাইভেসি পলিসি কি

এই শব্দটির বাংলা হচ্ছে গোপনীয়তার নীতি। এর মাধ্যমে সেই ওয়েবসাইট অথবা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের মূলনীতিকে বোঝায়। এমনকি প্রতিষ্ঠানের মূলনীতি ছাড়াও ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা থাকতে হয়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আপনি একজন গ্রাহকের কি কি তথ্য সংগ্রহ করেন সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করেন কার কার সাথে শেয়ার করেন ইত্যাদি।

একটি প্রাইভেসি পলিসি পেজ থেকে আপনি কি কি জানতে পারবেন

• উক্ত ওয়েবসাইটটি আপনার কি কি তথ্য গুলো সংগ্রহ করছেন
• সংগ্রহ করা তথ্য গুলো কিভাবে কাজে লাগাচ্ছেন
• পরবর্তীতে সেই তথ্য গুলো কিভাবে ডিলিট করছেন
• আপনার তথ্যগুলো অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করছে কিনা
• আপনি যখন সাটেতে ভিজিট করবেন তখন আপনার ডিভাইস কিংবা ব্রাউজারে কি কি তথ্য তারা সংগ্রহ করে।
• সংগ্রহ করা তথ্যগুলো তারা কতদিন জমা করে রাখে।

ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রাইভেসি পলিসি পেইজে কি কি কনটেন্ট থাকা প্রয়োজন

কি ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছেন

ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রাইভেসি পলিসি পেইজে শুরুতেই আপনাকে জানানো উচিত গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে একজন গ্রাহক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে যে তিনি এই সাইটটিতে ভিজিট করবেন কিনা।

বিভিন্ন ধরনের লগ ডাটা

এখানে লগ ডাটা বলতে বোঝানো হয়েছে ইন্টারনেট ব্রাউজারের আইপি ডিভাইসের আইপি ইত্যাদি তথ্য। আপনি এই সকল তথ্য গুলো সংগ্রহ করেন কিনা এবং সংগ্রহ করলেও সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করেন সে ব্যাপারে অবশ্যই পলিসিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।

কুকিজ ব্যবহার

এই শব্দটি আমরা অনেকেই শুনেছি। বিশেষ করে স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে এই নামে ফোল্ডার রয়েছে। আপনি ইন্টারনেটে যে সকল কিছু ব্যবহার করেন সেখান থেকে কিছু তথ্য কিংবা অতিরিক্ত ডাটা হিসেবে জমা হয়ে থাকে।

গ্রাহকের তথ্য গুলো নিরাপদ আছে কিনা

আপনার ভিজিটরের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য গুলো তাদের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন সংসার কাছে শেয়ার করছেন কিনা তার ব্যাপারে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।

তৃতীয় পক্ষের এড্রেস শেয়ার

আপনি গ্রাহকদের জন্য কিংবা ব্যবসায়ীক কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অথবা ওয়েবসাইটের তথ্য গুলো শেয়ার করতে পারেন। এমনকি তাদের যেকোনো কনটেন্টের এড্রেসও আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারেন। আর এ সকল এড্রেস গুলি কি কারনে শেয়ার করেন এবং সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে।

এছাড়াও আপনি ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রবেশে ফলাতে উল্লেখ করবেন যে কোনভাবেই পর্নোগ্রাফি, অশ্লীল, বেআইনি কিংবা অবৈধ কোন কনটেন্ট শেয়ার করবেন না কিংবা এই ধরনের কার্যকলাপের সাথে জড়িত হবেন না।

আর যদি আপনি এই ধরনের বিষয় গুলি প্রাইভেসি পলিসির মাধ্যমে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন তাহলে পাঠকদের কাছে আপনার সাইটে গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি বাড়বে।

ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য প্রাইভেসি পলিসি কিভাবে তৈরি করবেন

এটা তৈরি করা খুবই সহজ। এর জন্য প্রথমে আপনার কাঙ্খিত সাইটে লগইন করতে হবে। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে কাজ করে থাকেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডে পেজ নামে একটি অপশনে রয়েছে। সেখান থেকে অ্যাড এ নিউ পেইজ অপশনটিতে চাপ দিয়ে নতুন একটি পেজ যুক্ত করতে পারবেন।

তারপর পেইজের নাম এবং সকল কন্টেন্ট গুলো সুন্দরভাবে লিখে একটি ছবিওযুক্ত করে দিন। তবে মনে রাখবেন অন্য কোন সাইটের প্রাইভেসে পলেসের কন্টেন্ট গুলো কখনোই নকল করার চেষ্টা করবেন না। এতে করে আপনার সাইট গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল নাও পেতে পারে। আপনি নিজে নিজেই সুন্দরভাবে লিখার চেষ্টা করুন। যদি ইংরেজি লিখতে অসুবিধা হয় তাহলে প্রথমে বাংলা এবং পরবর্তীতে সেটিকে ইংরেজিতে কনভার্ট করতে পারেন।

এখানে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয হচ্ছে ব্লগ ওয়েব সাইটে প্রাইভেসি পলিসি এবং টার্মস এন্ড কন্ডিশন লেখার ক্ষেত্রে নূন্যতম ৩৫০ ওয়ার্ড লিখার চেষ্টা করুন। অনেকেই ১০০ কিংবা ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে এটা সম্পন্ন করে ফেলা। এতে করে সকল পয়েন্ট গুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা যায় না। তাই সকল কিছু বিশদভাবে লিখার চেষ্টা করুন।

Leave a Comment