রাতে কম খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

সুস্থ শরীরের জন্য অবশ্যই খাবার নিয়ে সচেতন থাকা জরুরী। দিনের অন্যান্য সময় তুলনায় রাতে কম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিনা তা হয়তোবা অনেকেই জানেন না। পরিমাণের চাইতে বেশি কিংবা কম খাওয়া কোনটাই হেলদের জন্য ভালো নয়। এতে করে হজম ও নানাবিধ সমস্যা তৈরি হতে পারে।

তাছাড়া রাত হচ্ছে ঘুমানো ও বিশ্রানের সময়। আর এই সময়টাতে আমাদের মেটাবলিজম সবচাইতে কম থাকে। তাই যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করেন তাহলে সেগুলো ঠিক মতন হজম হয় না। বিশেষ করে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার। যার ফলস্বরূপ দেখা যায় বুক জ্বালাপোড়া করা, এসিডিটি এবং হজমের সমস্যা।

রাতের বেলা বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর

এর অন্যতম একটি ফল হলো ওজন বৃদ্ধি পাওয়া। যেহেতু রাতে মেটাবলিজম কম থাকে তাই অতিরিক্ত ক্যালোরি আমাদের শরীরে ফ্যাটে পরিণত হয়। যার ফলে পেটের চর্বি বৃদ্ধি পায়।

এর আরও একটি ক্ষতিকারক দিক হলো ঘুমের সমস্যা হওয়া। পেট ভরতি খাবার নিয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুম দেওয়া কঠিন। এর কারণ হলো শরীর এই বাড়িতে খাবার নিয়ে ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে পারেনা বরং সেগুলো হজমের কাজ করতে হয়।

আবার যাদের ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন আরও বাড়তে সর্তকতা। রাতের বেলা আমাদের দেহে ইনসুলিন কম উৎপন্ন হয়। যার কারণে অতিরিক্ত খাবার দেহে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি নিয়মিত রাতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা দীর্ঘমেয়াদে আমাদের হৃদরোগের তৈরি করতে পারে।

রাতে কম খাওয়ার উপকারিতা

আপনি ঘুমানোর আগে ঠিক কতটুকু পরিমাণ এবং কি কি খাবার গ্রহণ করবে সেটা নির্ভর করে বয়স উচ্চতা ইত্যাদির ওপর। সবচাইতে ভালো হয় অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ কোন নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ নিয়ে খাবার তালিকা তৈরি করেছেন। তবে কম খাবার গ্রহণের নিয়মটি সবার ক্ষেত্রে একই রকম। সকাল কিংবা দুপুরের তুলনায় রাতে ঘুমানোর আগে কম খাবার গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের কার্যকারিতা ভালো থাকে। অল্প খাবার শরীর খুব সহজে হজম করতে পারে বলে ঘুমও ভালো হয়।

তাছাড়া যে কোন সময়ই পেট ভরে খাওয়া নানা ধরনের স্বাস্থ্য প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সব সময় শরীর পেটের কিছু অংশ খালি রাখা উচিত যাতে করে সকল কাজ সঠিকভাবে করতে পারে। যারা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রেও অবশ্যই পেট ভরে খাওয়া উচিত নয়। আপনার প্রতিদিনের ছোট ছোট এই অভ্যাসটি বছর শেষে অনেক বড় উপকার বয়ে আনবে। তাই রাতে কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন সুস্থ থাকুন।

Leave a Comment