বাংলাদেশের আকাশে এখন পর্যন্ত পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখতে পাওয়া যায়নি। যার কারণে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ২০২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে সাবান মাস। এ ব্যাপারে ইতিমধ্য ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষ। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেছেন বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা। এমনকি ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য এবারের শবে বরাত হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত। অর্থাৎ শুক্রবার রাতে।
সবার মাধ্যমে আরো জানানো হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে আজকে শাবান মাসের চাঁদ কোথাও দেখা যায়নি। যেহেতু অনেকেই জানতে চেয়েছেন শবে বরাত কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে তাই তাদের জন্য ইতিমধ্যে এটি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। যেটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।
সারা পৃথিবী জুড়েই কোটি কোটি মুসলমানরা মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় এ রাতে এবাদত করে থাকেন। যার মধ্য রয়েছে নফল নামাজ, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও জিকির। এমনকি অতীতের সকল পাপের কথা স্মরণ করে এবং ভবিষ্যতের কল্যান কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেন।
পবিত্র শবে বরাত কি
এই শব্দটি একটি ফাঁসি শব্দ। যেখানে সব শবে/শব অর্থ হচ্ছে রাত। আর বরাত শব্দটির অর্থ হচ্ছে মুক্তি। এই দুটি শব্দকে একত্রে করলে হয় মুক্তির রাত বা লাইলাতুল বরাত।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে এই রাত্রি অনেক সৌভাগ্যয় রাত হিসেবে বিবেচিত বা পরিচিত। কারণ মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের জন্য রহমতের দরজা খুলে দেন। আবার এই দিনটিকে কেন্দ্র করে অনেকেই হালুয়া, রুটির সহ বিভিন্ন খাবার তৈরি করেন এবং আত্মীয়-স্বজন করার প্রতি দেশের মাধ্যমে বিতরণ করেন। সন্ধ্যার পর অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে দোয়া করেন। বাংলাদেশের অন্যতম বাইতুল মোকাররম মসজিদ এই রাত উপলক্ষে দোয়া, কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি আয়োজিত হয়ে থাকে।
কি কারনে শাবান মাসের ১৪ তারিখের এই রাতে এত মর্যাদা পর্যন্ত তা জানার জন্য অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছেন যে, একদা প্রিয় নবী রাসুল (সা.) বলেন, যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো এবং দিনের বেলায় সিয়াম পালন করা। কেননা মহান আল্লাহ তা’আলা এই দিন সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর পৃথিবীর নিকটে আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন কে আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থী আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিব। আবার কে আছো রিজিক প্রার্থী আমি তাদেরকে রিযিক প্রদান করব। কে আছো রোগ মুক্তি চাও আমি তাদেরকে সুস্থতা দান করব। এভাবে ফজরের সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।
সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬২ তে হাদিসটি উল্লেখিত হয়েছে। এটাই থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত পাওয়ার জন্য কত উত্তম একটি রাত। এবারের পবিত্র শবে বরাত কত তারিখে এবং শবে বরাতকে সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই এখন আপনারা জানতে পেরেছেন। তাই চেষ্টা করবেন মহান আল্লাহ তাআলার অশেষে নিয়ামতের রাত যেন কোনভাবেই হাতছাড়া না হয়ে যায়।