মনের অজান্তেই আমরা জীবনসঙ্গিনীর সাথে নানা ধরনের ব্যবহার করে থাকি। যেগুলোই কিনা একটি সম্পর্ক ভাঙার কারণ কিন্তু আমরা ঘুনাক্ষরেও টের পাই না। আবার কেউ কেউ অনেক ঝগড়া-বিবাদ করেও দাম্পত্য জীবনের অনেক বছর পার করে ফেলেছেন। তবুও কোনদিন আলাদা হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করেননি। আবার একে অপরকে ভালোভাবে বুঝে কোন রকম ঝামেলা না করেও আলাদা হয়ে গিয়েছে অনেক দম্পতি।
মানুষের সম্পর্কের বিষয়বস্তু অনেক জটিল। বড় বড় আঘাতেও দুজনে একসাথে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে কিন্তু ছোট একটি আঘাতেই ভেঙে পড়ে পুরো সংসার। এর পেছনে আসলে কারণ কি?
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন একজন নারী যে কথাগুলি বলেন তার মাত্র ২৫ শতাংশ একজন স্বামী শুনে থাকেন এবং তার মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেন। হিসেবে আপনার স্বামী যদি কথার বেশিরভাগ অংশই বুঝতে পারে তাহলে ব্যাপারটি দারুন এবং স্ত্রী হিসেবে আপনি বেশ সৌভাগ্যবান।
সম্পর্ক ভাঙার কারণ কি
নিচের এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি ভালোভাবে মাথায় গেঁথে নিন। যাতে করে নিজের সম্পর্ক এবং পারিবারিক দৃঢ়তা বজায় রাখতে পারেন।
• মূলত হতাশা থেকেই সকল সম্পর্ক ভাঙনের শুরু হয়। এই হতাশাটা হতে পারে আপনার উপর তার আত্মবিশ্বাস থেকে আসছে। মানে হচ্ছে কেউ যখন তার পার্টনারের পর যতটুকু আশা করে তার চাইতে অনেক কম পায় তখন হতাশা তৈরি হয়। তাই দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুবই জরুরী। এতে করে কোন কিছুর ঘাটতে হলেও সে বিষয়টি কাটিয়ে নেওয়া যায়।
• সম্পর্ক ভাঙার কারণগুলোর মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে চুপ থাকা। অফিস কিন্তু ব্যবসায়ের কাজে নিজের স্ত্রী অথবা স্বামীকে সময় দিতে না পারলেও বাসায় গিয়ে কখনোই চুপ থাকা উচিত নয়। কারণ প্রিয় মানুষের সাথে সবারই ইচ্ছে থাকে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর বা কথা বলা।
• একেকজনের ভালবাসার ধরন একেক রকম। আপনি যেভাবে সময় কিংবা ব্যবহার চাচ্ছেন সেভাবে না করলে কখনোই ভেবে নিবেন না যে তিনি আপনাকে ভালোবাসেন না। হয়তোবা তার ভালোবাসার প্রকাশের ধরনটা ভিন্ন এ ব্যাপারে তার সাথে ঘোরাফেরা করতে পারেন।
• সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষ যে খুবই বিপদজনক একটি বিষয় সে ব্যাপারে আমরা সবাই জানি। একটি কথা যখন অপর একটি ব্যক্তির মাধ্যমে সমাধান হয় তখন নানা ধরনের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। তাই যেকোনো ধরনের পরিচিতি মোকাবেলায় একে অপরের সাথে সরাসরি কথা বলা।
উপরের তো পয়েন্টগুলো ছাড়াও সম্পর্ক ভাঙ্গার কারণ আরো থাকতে পারে। তবে সব কিছুর একটি সমাধান হচ্ছে সব ব্যাপারে একে অপরকে সবসময় জানানো খোলাখুলি কথা বলা এবং ভরসা রাখা।