সিলেটে বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা সমালোচনা

রিসোর্টে ঘুরতে আসা আর তরুণ তরুণীকে আটক করেছে সিলেটে বিয়ের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মোগলা বাজারের একটি রিসোর্টে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ঐ সকল ছেলেমেয়েরা রিজেন্ট পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। আটক করার পর তাদের পরিবারের লোকজনদেরকে জানানো হয় এবং বেশ কয়েকজন ছেলেমেয়েদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে সেখানকার চারটি যুগলকে বিয়ে পড়ানোর ঘটনা ঘটানো হয় যার আইনগত বিষয় নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। সিলেটে রিসোর্টের বিয়ের ঘটনায় মালিক দাবি করছেন এটি একটি প্রতিশোধ মূলক ঘটনা। মূলত চাঁদা না দেওয়াই এ ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে বলে জেনে যাবে করেছেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

সিলেটে বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা সমালোচনা

প্রত্যক্ষদর্শী কিছু লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় ঘটনার দিন সকালে উক্ত রিজেন্ট রিসোর্টের ১০ টি যুগলকে আটক করা হয়। তারপরে তাদের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। যে সকল পরিবারের সদস্যরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু দায়িত্ব না গ্রহণ করা৪ টি যুগলকে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় কাজের দের মাধ্যমে এবং এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে তিনটি বিয়ের জন্য কাবিন বা দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। অপর একটি বিয়ের দেনমো ধার্য করা হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। তরুন তরুণীরা সিলেটের আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দা বলে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন।

তারা অভিযোগ আরো অভিযোগ করেছেন যে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলেমেয়েরা এসে এই রিসোর্টের কক্ষ ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হন। এটা জানতে পেরে তারা এখানে আসেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান তারা ঘটনার স্থলে পৌঁছান। পরবর্তীতে তাদের পরিবারকে খবর দেওয়ার পরে দায়িত্ব গ্রহণ করলে আমরা চলে আসি। এমনকি পরবর্তীতে যদি কোন আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় তাহলে তারা জানাবেন বলা হয়েছিল।

কিন্তু এই খবর এবং কিছু ছবি ফেসবুকে সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। যার পর থেকে সবাই প্রশ্ন করছে স্থানীয়দের ক্ষমতায় প্রয়োগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। সিলেটে বিয়ের এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে সমালোচনা বিতর্ক চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর কারণে আইন প্রয়োগে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে এবং আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা কমিয়ে আনতে পারে।

Leave a Comment