ভিসা কত প্রকার ও কি কি

আপনি যদি দেশের বাইরে যেতে চান তাহলে অবশ্যই যে কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভিসা। এটি মূলত একটি অনুমতির পত্র যা একটি নাগরিককে অন্য দেশে প্রবেশ করার জন্য পারমিশন দিয়ে থাকে। তবে ভিসা কত প্রকার সেটি জানাও আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। কারণ ভ্রমণের ধরন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

ভিসা সংক্রান্ত কিছু তথ্য

প্রতিটি দেশেই অন্যান্য অনেক দেশেরই দূতাবাস থাকে। যারাই মূলত নাগরিকদেরকে ভিসা প্রদান করে থাকে। সাধারণত ভিসা ছাড়া এই দেশেতে আরেক দেশে প্রবেশ করা যায় না। তবে দুই দেশের মধ্যে যদি ওয়েভার নীতি থাকে অর্থাৎ চুক্তির মাধ্যমে এই কাগজটি স্থগিত রাখে তাহলে এটি ছাড়াও ভ্রমণ করা যাবে। তা না হলে ভ্রমণ করার জন্য অবশ্যই বিষয় প্রয়োজন হবে।

আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২২টি দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই অন্য দেশে ভ্রমণ করতে পারে। চুক্তির মাধ্যমেই এই নিয়মটি করা হয়েছে। তারা মূলত নিজেদের মধ্যে দেশের মধ্যে ভিসা প্রথা বাতিল করেছে।

তবে যদি এই ধরনের কোন চুক্তি না থাকে তাহলে এটি ছাড়া কোনো ভাবেই অন্য দেশের সীমানায় প্রবেশ করা যাবে না।

একটি ভিসার মেয়াদ কতদিন হয়ে থাকে

এই তারিখটিও নির্ভর করে কোন কাজের জন্য আপনি বিদেশ ভ্রমণ করবেন। সাধারণত প্রতিটি ভিসার কাগজের উপরে এর মেয়াদ লিখে দেওয়া থাকে। এমন কি সেটা দিয়ে ওই দেশে আপনি কতবার ভ্রমণ করতে পারবেন সেটা উল্লেখ থাকে।

ভিসা কত প্রকার ও কি কি

বাংলাদেশের ভিসা নীতিমালা অনুযায়ী প্রধানত ৪ ধরনের ভিসা রয়েছে। তবে এছাড়াও এর আরো প্রকার রয়েছে তবে মূল ক্যাটাগরি গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।

পর্যটন ভিসা বা ব্যবসায়িক ভিসা

এই ধরনের ভিসা পাওয়ার সবচাইতে সহজ। ধরুন আপনি ছুটি কিংবা অল্প কিছুদিনের জন্য ঘুরতে কোন দেশে যেতে চান। তাহলে অল্প খরচ এবং অল্প সময়ের ভিতরেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন পর্যটন ভিসা। এটার মেয়াদ ও কম থাকে সাধারণত মাসখানেক হয়ে থাকে

ইমিগ্রেশন ভিসা

এটার মাধ্যমে কোন একজন নাগরিককে অন্য দেশের স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়। লটারি, বিনিয়োগ, পরিবারের মাধ্যমে বা শরনার্থী হয়ে এই ধরনের অনুমতি বা ইমিগ্রেশন ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

স্টুডেন্ট ভিসা

বাংলাদেশ সাথে প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লেখাপড়া করতে যায়। এমনকি বিশ্বের অনেকদের সাথে বাংলাদেশেও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এই ধরনের স্টুডেন্টদের জন্য ভিসা এক বিশেষ ধরনের ভিসার ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

কাজের ভিসা

বিভিন্ন ধরনের কাজ, চাকুরী কিংবা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যারা অন্য দেশে ভ্রমণ করে তাদেরকে প্রদান করা হয় ওয়ার্ক পারমিট। এটি পেতে বেশ অর্থ খরচ করতে হয়।

উপরের ক্যাটাগরি গুলো ছাড়াও জরুরী কাজের জন্য যেমন চিকিৎসা, অফিসের কাজ, বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং ইত্যাদি কাজের জন্য ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে।

আপনি যে ক্যাটাগরিতেই আবেদন করেন না কেন পাসপোর্টের পাশাপাশি আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপের কাগজ, কাজের জন্য এপয়েন্টমেন্ট লেটার, চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট ইত্যাদি জমা দিতে হয়। তবে ভিসা কত প্রকার সেটি জানলে আপনার কাছে বাকি ধাপগুলো বেশ সহজে মনে হবে।

Leave a Comment