মোবাইলের বাজারে তুমুল জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড হচ্ছে আইফোন। আপনি যদি বাজারে সেরা সকল স্মার্টফোন গুলোর একটি তালিকা তৈরি করেন তাহলে প্রথম দিকেই থাকবে এই ব্র্যান্ডটি। অনেকেই আবার পুরাতন আইফোন কিনে থাকে। কারণ ব্র্যান্ড নিউ ডিভাইস কিনতে গেলে খরচ করতে হয় বেশ অর্থ। যার কারণে নিজের শখ পূরণের জন্য আমরা ব্যবহৃত আইফোন কিনে থাকি।
ইউজ, রিফারবিশড কিংবা পুরাতন আইফোন কিনেতে কোন সমস্যা নেই। তবে কেনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে সেটির হার্ডওয়ার, সফটওয়্যার এবং অন্যান্য বিষয়াদি যাচাই করে নেওয়া উচিত। এতে করে আপনি ভালো পারফরম্যান্স পাবেন এবং ব্যবহার করেও শান্তি লাগবে। পুরাতন আইফোন কেনার সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই।
পুরাতন আইফোন কেনার সুবিধা কি কি
১। প্রথমেই যেই সুবিধাটি পাবেন সেটি হচ্ছে টাকা সাশ্রয়। যেকোনো মোবাইলের দাম এর ব্যবহার, পারফরম্যান্স, কনফিগারেশন, মডেল, অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে মডেল ভেদে আপনি অর্ধেক কিংবা তারও অধিক টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন।
২। প্রায় সকল মোবাইল কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট সময় পর নির্দিষ্ট মডেলের স্মার্টফোন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে যদি পুরনো মডেলের কোন ডিভাইস কিনতে চান তাহলে অবশ্যই পুরাতন কিংবা ইউজড ডিভাইস কিনতে হবে। ধরুন বর্তমানে বাজার আইফোন ১৬ সিরিজ চলছে।। কিন্তু আপনার দরকার iphone 12 কিংবা ১১, এক্ষেত্রে পুরাতন গুলিই শেষ ভরসা।
৩। পুরাতন আইফোন কেনার অন্যতম একটি সুবিধা হচ্ছে এর রি-সেল ভ্যালু। অর্থাৎ এই ধরনের মডেল গুলির দাম অনেকদিন যাবতই স্থির থাকে। তাই যে দামে আপনি এটাই কিনবেন বেশ কিছুদিন ব্যবহার করার পর মোটামুটি একই দামে বিক্রি করতে পারবেন। কারণ নতুন ডিভাইস বলে আনবক্স করার পর এর মূল্য অনেকটাই কমে যায়।
৪। বিভিন্ন ডেভলপার এবং প্রফেশনাল ব্যক্তিরা আছেন যারা কিনা তাদের সফটওয়্যার এবং অন্যান্য বিষয়াদি যাচাই করার জন্য আইফোন কিনে থাকেন। এদের এদের ক্ষেত্রে বেশি অর্থ দিয়ে নতুন না কেনার চাইতে পুরাতন কেনা টাই বেশি ভ্যালু ফর মানি হয়।
পুরাতন আইফোন কেনার অসুবিধা কি কি
১। এটির সবচাইতে বড় অসুবিধা হচ্ছে কোন ওয়ারেন্টি থাকে না। আপনি নতুন যে কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস কিনলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সার্ভিস ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি ইত্যাদি দেওয়া হয়ে থাকে। অন্তত সেই কয়েকদিন নিশ্চিন্তে ডিভাইস ব্যবহার করা যায়। কিন্তু আপনি যখন পুরাতন আইফোন কিনবেন তখস এই ধরনের কোন নিশ্চয়তা পাবেন না
তবে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সহ বড় বড় শপিং সেন্টারের দোকান গুলো থেকে পুরাতন ডিভাইসে ১ থেকে ২ বছরের ওয়ারেন্টি প্রদান করা হয়। আবার সকল ব্র্যান্ডেরই রিফারবিশড ফোন কিনলে অফিসিয়াল ফোনের মতই ওয়ারেন্টি দেওয়া থাকে।
২। যে কোন মোবাইলে নতুন মডেলের কেনার ক্ষেত্রে ইচ্ছামত কালার এবং ভেরিয়েন্ট পছন্দ করা যায়। কিন্তু পুরাতন গুলোর ক্ষেত্রে যেগুলো বাজারে থাকে শুধুমাত্র সেখান থেকেই বেছে নিতে হয়।
৩। পুরাতন আইফোন সহ সকল স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা হচ্ছে অরিজিনাল বক্স, চার্জার ইত্যাদি যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। অর্থাৎ দোকান থেকে আলাদাভাবে চার্জার কিনতে হয় কিংবা অন্য কনফিগারেশনের চার্জার ব্যবহার করতে হয়।
৪। অ্যাপল কোম্পানি সাধারণত iphone এর ক্ষেত্রে ৬ বছর পর্যন্ত সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি ৩ থেকে ৪ বছরের পুরানো মডেল কেনেন তাহল আর কিছুদিনের মধ্যেই সফটওয়্যার সাপোর্ট মেয়েদের শেষ হয়ে যাবে।
পুরনো কিংবা ব্যবহৃত যে কোন জিনিস কিনার ক্ষেত্রেই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া উচিত। ডিসপ্লে পরিবর্তন, ব্যাটারি পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় গুলো দক্ষ কাউকে দিয়ে যাচাই করে নেওয়া উচিত। এতে করে ঠকার সম্ভাবনা কম থেকে এবং আপনিও ফোনটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন। পুরাতন আইফোন কেনার ক্ষেত্রে আপনি জনপ্রিয় মোবাইল বিক্রির দোকান গুলো দেখতে পারেন। এরা ইউটিউব, ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞাপনও দিয়ে থাকে। এমনকি ফোনের সাথে ওয়ারেন্টি প্রদান করে।