রাউটার কি | রাউটার কত প্রকার ও কিভাবে কাজ করে

আধুনিক এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ওয়াইফাই রাউটারের সাথে পরিচিত নন এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাসা বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ নেওয়ার পরে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে ডিভাইসটি আমরা কিনে থাকি সেটি হচ্ছে রাউটার। কিন্তু আপনি কি জানেন এই রাউটার কি ও কিভাবে কাজ করে?

রাউটার হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা ইন্টারনেট বা স্থানীয় নেটওয়ার্কের মধ্যেও সংযোগ ঘটায়। আমরা বাসা বাড়িতে ওয়াইফাই কিংবা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য এটি কিনে থাকি। এই ডিভাইসটির মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আমাদের ল্যাপটপ, মোবাইল, কম্পিউটার, স্মার্ট টিভি কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করা যায়।

ওয়াইফাই রাউটারের কাজ কি কি

• একটি ওয়াইফাই রাউটার যেকোনো ধরনের ইন্টারনেট সংযোগকে একাধিক ডিভাইসের মধ্যে হয় শেয়ার করতে সক্ষম। যেমন ব্রডব্যান্ডের একটি সংযোগ কে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের সাথে যুক্ত করতে পারেন।

• বর্তমানে আধুনিক ওয়াইফাই রাউটার গুলোর মাধ্যমে তারবিহীন ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়। যেটাকে আমরা ওয়াইফাই ইন্টারনেট হিসেবে জানি।

• এমনকি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের নিরাপত্তা সিস্টেম এবং অন্যান্য সিকিউরিটি ফিচার গুলো এই রাউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।

• তারের মাধ্যমে সরবরাহ করা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট রাউটার তার রেঞ্জ অনুযায়ী একটি বিস্তৃত এলাকা জুড়ে নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতে পারে। রাউটার যত শক্তিশালী হয় এই বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তত বেশি হয়ে থাকে।

ওয়াইফাই রাউটারের সুবিধা গুলো কি কি

• ওয়াইফাই রাউটার অসুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি দ্বারা ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়। যার মাধ্যমে ল্যাপটপ, স্মার্ট টিভি, মোবাইল ইত্যাদির সাথে কোন তারের সংযোগ ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

• আগেকার দিনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট তার দিয়ে ডিভাইসের সাথে যুক্ত করে ব্যবহার করতে হতো। যার কারণে একটি লাইনের মাধ্যমে একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করা বেশ ঝামেলা পূর্ণ ছিল। কিন্তু এই ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে একাধিক ডিভাইসকে খুব সহজেই একই ইন্টারনেটের মধ্যে যুক্ত করা যায়।

ওয়াইফাই রাউটারের সুবিধা

• যদি রাউটার খুব বেশি শক্তিশালী না হয় তাহলে একটি দেয়ালের মধ্য দিয়ে অপর পাশে খুব সহজে সিগন্যাল পাঠাতে পারেনা। এখানে মূলত দেয়াল জাতীয় বস্তু গুলো সিগন্যালকে বাধা প্রদান করে থাকে।

• যদি রাউটারটিতে সঠিক পরিমাণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে প্রতারকরা খুব সহজেই তথ্য চুরি করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে দুর্বল পাসওয়ার্ড, দুর্বল ফার্মওয়ার ইত্যাদি। আগে অবশ্যই এর সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

• অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারনেট রাউটার সেটআপ করা বেশ ঝামেলাপূর্ণ একটি কাজ।

• একটি রাউটারের অধীনে একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করলে নেটওয়ার্ক জ্যামের তৈরি হতে পারে অথবা নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। যার কারণে ডিভাইস গুলো ব্যবহারে দেখা দেয় নানা ধরনের জটিলতা।

• তাছাড়া একটি ইন্টারনেট কিংবা ওয়াইফাই রাউটারের দাম বেশ ভালই। বর্তমানে ডল ব্যান্ডের একটি ওয়াইফাই রাউটার কিনতে গেলে কমপক্ষে ৪ হাজার টাকায় প্রয়োজন হয়।

রাউটার কত প্রকার ও কি কি

বর্তমানে রাউটার সাধারণত ৩ ধরনের হয়। সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো।

১। ওয়ারলেস রাউটার: এই ধরনের রাউটার গুলি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দিয়ে আপনি কি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম। যে নেটওয়ার্কে মূলত তার বিহীন।

২। তার যুক্ত রাউটার: এ ধরনের কেবল ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসকে যুক্ত করতে পারে এ ধরনের রাউটার। এগুলো বেশিরভাগই ব্যবহার করা হয় কম্পিউটারের ক্ষেত্রে।

৩। কোর রাউটার: একটি বড় নেটওয়ার্কের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান প্রদান করতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা এ ধরনের ব্যবহার করে থাকে।

তবে সুবিধা কিংবা অসুবিধা যাই থাকুক না কেন বর্তমানে একটি ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই রাউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম।

Leave a Comment